ধানের শীষ নিয়ে মিথ্যাচার করার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার জন্য এনসিপির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেছেন, ‘ধানের শীষ শান্তি, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক। চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত লাইসেন্স ও মার্কাবিহীন দলের নেতার উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে সংঘাত সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ধোবাউড়া উপজেলা শ্রমিক দলের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের প্রতি দেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপি কোনো সংঘাত, উসকানিতে পা দেবে না। নির্বাচন ও গণতন্ত্রের জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন জাতিকে বিএনপিই সবার আগে দেখিয়েছে। ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি দিয়েছে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ওয়াক আউট নয়। বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ ও বুলেট গতিতে কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘সংস্কারের নামে জোর করে কিছু মানতে বাধ্য করা হলে বিএনপি নিশ্চয়ই সাক্ষী গোপাল হয়ে বসে থাকবে না। বিএনপির মতো বড় এবং অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয় দলের মতামতকে উপেক্ষা করে কোনো কার্যকর টেকসই সংস্কার হতে পারে না। অন্যান্য ছোট ও নিবন্ধনবিহীন দলের সঙ্গে বিএনপিকে তুলনা করা সরকারের উচিত হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বড় দল। বড় দল হিসেবে দায়িত্বও বেশি। সে কারণে বিএনপি অনেক ছাড়ও দিয়েছে। কিন্তু অবাস্তব ও ভারসাম্যহীন কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাইলে বিএনপি মেনে নেবে না। দেশের জন্য ভালো এমন সংস্কারকে স্বাগত জানানোর মানসিকতা বিএনপির আছে। কিন্তু বিএনপিকে চাপে ফেলে অবাস্তব কিছু আদায় করা যাবে না। অনেকে অনেক কথা বলেন, বলতেই পারেন। বাকস্বাধীনতা সবার আছে। বাস্তব সত্য বিএনপি আন্দোলনে না থাকলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটত না।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুর্নীতি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির আপসহীন লাগাতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছিল। কোটা সংস্কারের ছাত্র আন্দোলনে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলের সমর্থন, গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে খুনি সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের ডাকে সর্বস্তরের জনগণের রাজপথে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে হাসিনার পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল।’
এ সময় জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাইদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিদুল হক মোহনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম কাজল, সদস্যসচিব আনিসুর রহমান মনিক, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রব্বানী সুমন, আবদুল কুদ্দুস, আবদুল মোমেন শাহিন, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, এম আসাদউল্লাহ আসাদ, সৌমিক হাসান সোহাগ, যুগ্ম সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গনি, দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ নুন, প্রচার সম্পাদক আল আমিন জনিসহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন