হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মানিকগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে হারিয়ে গেছে ২০০ বছরের পুরোনো বাজার

মানিকগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে স্থানীয় বাজার। ছবি : কালবেলা
মানিকগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে স্থানীয় বাজার। ছবি : কালবেলা

পদ্মার ভাঙনে হারিয়ে গেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ২০০ বছরের পুরোনো বাহাদুরপুর বাজার। এটি এখন অস্তিত্বহীন। প্রায় ২০০ বছর আগে ২০০ শতাংশ জমির ওপর বাজারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বলে জানান এলাকার প্রবীণরা।

জানা যায়, প্রায় পঞ্চাশ দশক হতে এ উপজেলায় পদ্মার ভাঙন দেখা দেয়। এতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নই নদীভাঙনের কবলে পড়ে। তবে গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ভাঙন দেয় সত্তর দশক থেকে। ধারাবাহিক ভাঙনের ফলে ইউনিয়নটির কদমতলী, বড় বাহাদুরপুর ও বজ্রা ভাঙা এই তিনটি গ্রাম সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বাড়ি ঘর জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় শতশত পরিবার। এ ছাড়া এ ইউনিয়নের উজানপাড়া, ছোট বাহাদুরপুর ও ডেগিরচর এই তিনটি গ্রামের আংশিক পদ্মায় বিলীন হলেও বাকি অংশ বিলীনের শঙ্কায় রয়েছে গ্রামবাসী।

৯ সেপ্টেম্বর বাহাদুরপুর পদ্মাপাড়ে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ধারাবাহিক নদীভাঙনে ২০১৮ সালের শেষের দিকে ২০০ বছরেরর পুরাতন বাজারটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাওয়ায় নদীতীরবর্তী পাশেই প্রায় শতাধিক শতাংশ জায়গার ওপর আবার বাজারটি চালু করা হয়। এখন ওই বাজারসহ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় শতবর্ষী ১৩ নম্বর গোপীনাথপুর ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা। এলাকাটি রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে তীররক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তাতে যেন ভাঙন থেকে শেষ রক্ষা মিলছে না এলাকাবাসীর।

গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ.জে. ড. এম শফিউল্লাহ শফি জানান, বাজারটি ২০০ বছরের পুরোনো বাজার। এই বাজার প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন সময়ে আমার বংশধরেরাও কিছু জমি দিয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর আগে বাজারটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। পরে পাশেই আমাদের জায়গার ওপরেই আবার বাজারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, বাজার সবই আমাদের জায়গা দান করে দেওয়া হয়। ভাঙন রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও মানুষ রক্ষা পাচ্ছে না। এখনও ভাঙছে।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন জানান, ২০১৬ সাল থেকে হরিরামপুরে বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে নদীতীরবর্তী রক্ষায় কাজ চলছে। বর্তমানে ধূলশুড়া এলাকায় ১২০০ মিটার কাজ চলছে। এর তিন মাস আগে রামকৃষ্ণপুর থেকে গোপনীনাথপুর উজানপাড়া পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিমি নদীর তীর থেকে ৫০ মিটার ভেতর পর্যন্ত জিও ব্যাগের কাজ করা হয়েছে। পানি আসায় কাজটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। পানি চলে গেলে বাকি কাজ শেষ করা হবে। তবে পানির নিচে জিও ব্যাগ ফেলার কারণে এ পয়েন্ট এ বছর আর ভাঙন দেখা দেয়নি।

তবে পাটুরিয়া ঘাট থেকে গোপীনাথপুর উজানপাড়া পর্যন্ত সিসি ব্লকের মাধ্যমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

টাকা বাঁচাতে লেভানদোভস্কিকে গোল করতে মানা করেছিল বার্সা!

মুক্তিযুদ্ধকে বিএনপির মতো অন্য কোনো দল ধারণ করে না: শামা ওবায়েদ

মুশফিকের শততম টেস্টে হামজার বিশেষ বার্তা

ভারতকে হারিয়ে ফিফা থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের কবলে বিচারক, খোয়ালেন মোবাইল-চশমা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ছোট কাজে বড় অনিয়ম

লালদিয়া-পানগাঁও টার্মিনাল / ১০ বছরের করমুক্ত সুবিধা পাবে দুই বিদেশি কোম্পানি

রামপুরায় বাসে আগুন

যুবদলের পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

১০

আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনিতে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

১১

এবার ‘রাজসাক্ষী’ হয়ে আরেক পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি

১২

দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৮ নেতাকর্মী কারাগারে

১৩

নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবিতে নৌবহর কর্মসূচি

১৪

সময় টিভির চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলামের পদত্যাগ

১৫

ইতালি নেওয়ার লোভ দেখিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে তিন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

১৬

জানা গেল বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ

১৭

রোজা শুরু হতে আর কত দিন বাকি? জেনে নিন

১৮

ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতি / বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ঐক্য পরিষদ

১৯

আবারও বিপিএল নিলাম নিয়ে অনিশ্চয়তা

২০
X