শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মানিকগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে হারিয়ে গেছে ২০০ বছরের পুরোনো বাজার

মানিকগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে স্থানীয় বাজার। ছবি : কালবেলা
মানিকগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে স্থানীয় বাজার। ছবি : কালবেলা

পদ্মার ভাঙনে হারিয়ে গেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ২০০ বছরের পুরোনো বাহাদুরপুর বাজার। এটি এখন অস্তিত্বহীন। প্রায় ২০০ বছর আগে ২০০ শতাংশ জমির ওপর বাজারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বলে জানান এলাকার প্রবীণরা।

জানা যায়, প্রায় পঞ্চাশ দশক হতে এ উপজেলায় পদ্মার ভাঙন দেখা দেয়। এতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নই নদীভাঙনের কবলে পড়ে। তবে গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ভাঙন দেয় সত্তর দশক থেকে। ধারাবাহিক ভাঙনের ফলে ইউনিয়নটির কদমতলী, বড় বাহাদুরপুর ও বজ্রা ভাঙা এই তিনটি গ্রাম সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বাড়ি ঘর জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় শতশত পরিবার। এ ছাড়া এ ইউনিয়নের উজানপাড়া, ছোট বাহাদুরপুর ও ডেগিরচর এই তিনটি গ্রামের আংশিক পদ্মায় বিলীন হলেও বাকি অংশ বিলীনের শঙ্কায় রয়েছে গ্রামবাসী।

৯ সেপ্টেম্বর বাহাদুরপুর পদ্মাপাড়ে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ধারাবাহিক নদীভাঙনে ২০১৮ সালের শেষের দিকে ২০০ বছরেরর পুরাতন বাজারটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাওয়ায় নদীতীরবর্তী পাশেই প্রায় শতাধিক শতাংশ জায়গার ওপর আবার বাজারটি চালু করা হয়। এখন ওই বাজারসহ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় শতবর্ষী ১৩ নম্বর গোপীনাথপুর ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা। এলাকাটি রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে তীররক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তাতে যেন ভাঙন থেকে শেষ রক্ষা মিলছে না এলাকাবাসীর।

গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ.জে. ড. এম শফিউল্লাহ শফি জানান, বাজারটি ২০০ বছরের পুরোনো বাজার। এই বাজার প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন সময়ে আমার বংশধরেরাও কিছু জমি দিয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর আগে বাজারটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। পরে পাশেই আমাদের জায়গার ওপরেই আবার বাজারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, বাজার সবই আমাদের জায়গা দান করে দেওয়া হয়। ভাঙন রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও মানুষ রক্ষা পাচ্ছে না। এখনও ভাঙছে।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন জানান, ২০১৬ সাল থেকে হরিরামপুরে বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে নদীতীরবর্তী রক্ষায় কাজ চলছে। বর্তমানে ধূলশুড়া এলাকায় ১২০০ মিটার কাজ চলছে। এর তিন মাস আগে রামকৃষ্ণপুর থেকে গোপনীনাথপুর উজানপাড়া পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিমি নদীর তীর থেকে ৫০ মিটার ভেতর পর্যন্ত জিও ব্যাগের কাজ করা হয়েছে। পানি আসায় কাজটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। পানি চলে গেলে বাকি কাজ শেষ করা হবে। তবে পানির নিচে জিও ব্যাগ ফেলার কারণে এ পয়েন্ট এ বছর আর ভাঙন দেখা দেয়নি।

তবে পাটুরিয়া ঘাট থেকে গোপীনাথপুর উজানপাড়া পর্যন্ত সিসি ব্লকের মাধ্যমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনা-কামালকে ফেরাতে সরকারের নতুন কৌশল

পুনরায় দুঃসংবাদ পেলেন বিএনপির এক নেতা

সেই বিচারকের মোবাইল ফোন ও চশমা উদ্ধার

তারেক রহমানের জন্মদিনে শীতবস্ত্র বিতরণ

নিউমুরিং টার্মিনালের চুক্তির সব কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ

সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না শুক্রবার 

আ.লীগের ৫ শতাধিক সমর্থকের নামে চার মামলা, গ্রেপ্তার ২২

নির্বাচনের আগে ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন

স্ত্রী হারালেন তোফায়েল আহমেদ

রাতে ৫৬ নেতাকে সুখবর দিল বিএনপি

১০

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে গ্রেনেড, বাড়িতে নিয়ে যান কৃষক

১১

ইতালি যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জের দুই যুবকের মৃত্যু

১২

জিম্বাবুয়ের কাছে লঙ্কানদের লজ্জার পরাজয়

১৩

প্রথমবারের মতো কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

১৪

গভীর রাতে সাংবাদিক-ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় টিআইবির উদ্বেগ

১৫

২০২৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফের ড্র চূড়ান্ত

১৬

ব্রাকসু নির্বাচনে তপশিল পরিবর্তন, জানা গেল ভোটের নতুন তারিখ

১৭

নিউইয়র্ক এলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি মামদানির

১৮

শীত কবে থেকে বাড়তে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৯

কুয়াকাটায় বিসিসির উচ্চাভিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি

২০
X