শিক্ষক না থাকায় এইচএসসির ফল বিপর্যয় ঘটেছে খুলনার তেরখাদা উপজেলার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। কলেজটি থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮ শিক্ষার্থীর কেউই পাস করতে পারেনি।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৩ শিক্ষক কর্মরত থাকলেও তারা প্রত্যেকেই স্কুল শাখার শিক্ষক। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নেই একজন শিক্ষকও।
জানা গেছে, ১৯৬৬ সাল থেকে স্কুল পর্যায়ে পাঠদান কার্যক্রম চলে আসছিল আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে। পরবর্তীতে ২০২৩-২৪ সালে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম অনুমতি পায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটিতে কলেজ পর্যায়ে এখনো কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি।
স্কুল শাখার শিক্ষকদের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে একাদশ শ্রেণিতে ১৩ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। ওই ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জন ফরম ফিলাপ করে, কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আটজন। কলেজটিতে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ৮ জনই অকৃতকার্য হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সাচিয়াদাহ ইউনিয়নে অবস্থিত কলেজটি। অবকাঠামোর দিক থেকে ভালো থাকলেও শিক্ষার্থী ভর্তির আগ্রহ একেবারে নাজুক।
আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক উদ্ধব কুমার মোহান্ত কালবেলাকে জানান, ‘এখানে যারা পড়ালেখা করে সবাই ভ্যান চালানো ও কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। কেউই নিয়মিত কলেজে আসে না। এমনকি এখানে কলেজ শাখার জন্য কোনো শিক্ষক নেই। স্কুলের শিক্ষকরা কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়ায়। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত কলেজে না আসা ও আগ্রহ কম থাকায় ফলাফলে এমন বিপর্যয় ঘটেছে।’
মন্তব্য করুন