

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, এ দেশের মানুষ জেনে গেছে কীভাবে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হয়। কাজেই গণতন্ত্রকামী মানুষের দৃঢ় বিশ্বাসে আমরা আস্থা রাখতে চাই। কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে সফল হবে না। শেষ বিজয় হবে জনগণের।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এমন কোনো ফাটল তৈরি করবেন না, যেই ফাটল দিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। এ বাংলাদেশ বাংলা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্র করে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষকে ধাবিয়ে রাখা যাবে না। ষড়যন্ত্র দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে করতে পারে। বিশেষ করে পলায়নরত স্বৈরাচার ও তার দোসররা ষড়যন্ত্র করে কাউকে উসকে দিতে পারে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সফল হতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে স্বৈরাচার বিতারিত করা হয়েছে, যে ঐক্যের কারণে বাংলাদেশের মানুষ আগামী দিনের স্বপ্ন দেখা শুরু করল সেই ঐক্যের মধ্যে কোনো কোনো দল ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বিনয়ের সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ করতে চাই, এ দেশ সবার। মনে রাখতে হবে, যার যার রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে সবার আগে বাংলাদেশ।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সকল রাজনৈতিক এজেন্ডার ওপরে স্থান দিতে হবে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র যে বা যারাই করেন না কেন কোনো অবস্থাতে গণতন্ত্রকামী মানুষকে ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্র থেকে দূরে রাখতে পারবেন না। কেউ চেষ্টা করবেন না।
ডা. জাহিদ বলেন, আমাদের মধ্যে কারও কারও মধ্যে প্রশ্ন থাকতে পারে, আমাদের জাতীয় সনদ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু মনে রাখবেন জাতীয় সনদ আজকে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতা পরবর্তীতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলিল। যেটি সারা দেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে গ্রহণ করেছে এবং যেটির মধ্যে স্বাক্ষর করেছে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যে দলই জনগণের ভালোবাসায় শিক্ত হয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন না কেন এ জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করা তাদের অবশ্যই করণীয়। কোনো অবস্থাতেই পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ দেশের মানুষ একবার যেহেতু ঐক্যবদ্ধ হতে শিখেছে কেউ যদি মনে করে ভবিষ্যতে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আবার স্বৈরাচারী কায়দায় এদেশ পরিচালনা করার চেষ্টা করবে, সনদ থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করবে তাহলে সেটি ভুল। কারণ মানুষ জেনেছে, মানুষ শিখেছে কীভাবে গণতন্ত্র আদায় করতে হয়, কীভাবে স্বৈরাচারকে বিদায় করতে হয়।
দিনাজপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক একে মাসুদুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রেজাউর রহমান রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক (স্থগিত) বখতিয়ার আহমেদ কচিসহ বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
মন্তব্য করুন