

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনালসহ (সিসিটি) বন্দরের কোনো অংশ বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বন্দর রক্ষা পরিষদ। লাভজনক এ দুই টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত ৪০ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার না করলে আগামী ২০ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের বড় পোল এলাকায় পোর্ট কানেকটিং সড়কে এ মিছিল বের হয়। এ সময় ‘আমার বন্দর আমার মা, বিদেশিদের দেব না’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ডিপি ওয়ার্ল্ড ডিপি ওয়ার্ল্ড গো ব্যাক, গো ব্যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শ্রমিকরা।
মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ রুমী। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের মানুষের করের টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। বন্দর উন্নয়নের নাম করে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। দুই দিন আগের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বন্দর আগের চেয়ে ২১ ভাগ বেশি আয় করেছে। যদি দক্ষতা বাড়াতে হয় তাহলে বিদেশি ট্রেইনার আনা যায়। দক্ষতার নামে এদেশের বন্দর ইজারা দেওয়ার অধিকার নেই।
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিচার হচ্ছে, সংস্কারের কিছু দেখিনি। সংস্কারের নামে বন্দর বিদেশিদের হাতে দিলে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আগুন জ্বলবে। এনসিটি সিসিটি বিদেশিদের হাতে আমরা দিতে দেব না যতক্ষণ আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত আছে। এ সরকার বিদেশিদের স্বার্থে চুক্তি করতে যাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সিসিটি, এনসিটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখানে বিদেশিদের বিনিয়োগের কিছু নেই। এ দুইটি টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দিলে দেশের ডলার বিদেশে চলে যাবে। বে টার্মিনালে বিদেশি বিনিয়োগে আমাদের আপত্তি নেই। সিসিটি, এনসিটির মতো লাভজনক টার্মিনালগুলো বিদেশিদের দেওয়া যাবে না। ৪০ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে ২০ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন