

নবজাতক শিশুদের টিকা কার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে। টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এই ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবজাতকের জন্য টিকা কার্ড তৈরি করতে আসা অভিভাবকদের কাছ থেকে বিল্লাল হোসেন নিয়মিতভাবে জনপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছিলেন। বিনামূল্যে পাওয়ার কথা থাকলেও সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়ে এই টাকা দিতে হচ্ছিল।
সম্প্রতি টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, বিল্লাল হোসেন অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করছেন। এই ঘটনা স্থানীয় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং স্বাস্থ্যসেবায় অনিয়মের অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং অভিযোগের ভিত্তিতে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে স্পষ্টীকরণ চাওয়া হয়েছে এবং কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, টিকা কার্ড বিতরণে কোনো প্রকার অর্থ নেওয়া সম্পূর্ণভাবে নিয়মবহির্ভূত। অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর এবং এর সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। ভিডিওটি আমাদের নজরে আসার পরই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেছি। তার জবাব পাওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
মন্তব্য করুন