

পটুয়াখালীর কুয়াকাটার গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা নবীনপুর এখন শুঁটকির তীব্র গন্ধে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কয়েকজন শুঁটকি ব্যবসায়ী এলাকায় একরে একরে জমি দখল করে খোলা আকাশের নিচে কাঁচা মাছ শুকানোর কাজ চালিয়ে আসছেন। এতে দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও বয়স্করা। দ্রুত আবাসিক এলাকা থেকে শুঁটকি কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, নবীনপুর এলাকার বিশাল জায়গাজুড়ে মাচায় কাঁচা মাছ বিছিয়ে শুঁটকি তৈরির কাজ চলছে। পাশেই ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদ থাকায় এলাকাবাসী চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, দিন-রাত একই গন্ধ। ঘরেও থাকা যায় না। আমাদের ছোট শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এত বড় আবাসিক এলাকায় শুঁটকি শুকানোর মতো কাজ কীভাবে চলতে পারে বুঝি না। আমরা এটি দ্রুত বন্ধ চাই।
আরেক বাসিন্দা মন্নান বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীরা সবচেয়ে বেশি ভুগছেন। মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব লেগেই থাকে। অনেক সময় ঘর ছেড়ে বাইরে যাওয়া যায় না। আমরা বহুবার অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (উপরা)-এর আহ্বায়ক কেএম বাচ্চু বলেন, আবাসিক এলাকায় শুটকি উৎপাদন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি জনস্বাস্থ্যের ওপরও হুমকি তৈরি করছে। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অবিলম্বে এগুলো সমুদ্র উপকূল অথবা নির্ধারিত শিল্পাঞ্চলে সরিয়ে নিতে হবে।
কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবাসিক এলাকায় শুঁটকি শুকানোর কোনো অনুমতি নেই। আমরা বিষয়টি যাচাই করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার হামিদ বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। খুব শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
মন্তব্য করুন