লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা এলাকার নূরানী তা’লীমূল কোরআন নামে এক হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১৮জন শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল (৪০) এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শনিবার (২৮ অক্টোবর) ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মাদ্রাসা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর বাবা। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল আউয়াল উপজেলার সানিয়াজান এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
জানা গেছে, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল আউয়াল গত কয়েক মাস ধরে শিশু শিক্ষার্থীদের বলাৎকার করে আসছে। একে একে ১৮ জন শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে ওই শিক্ষক। একপর্যায়ে শিশু শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানান। পরিবারের লোকজন মাদ্রাসায় আসলে বিষয়টি বুঝতে পেরে সটকে পড়েন ওই শিক্ষক। পরে স্থানীয়রা মাদ্রাসা ঘেরাও করে শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবারের লোকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বলাৎকার করে আসছে। শিশুরা বাধ্য হয়ে বিষয়টি তাদের অবগত করেন।
এদিকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আকবর হোসেন বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আপসের চেষ্টা করছেন। এতে অভিভাবকরা রাজি না হলে তিনি ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল আউয়ালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম বলেন, শিক্ষার্থীর অভিভাবক শনিবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন