দেলোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শীতের শুরুতেই ময়মনসিংহ মেডিকেলে শিশু ওয়ার্ডে তিল ঠাঁই নেই

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর ভিড়। ছবি : কালবেলা
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর ভিড়। ছবি : কালবেলা

শীতের শুরুতেই তিল ধারণের ঠাঁই নেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। ঠাণ্ডাজনিত রোগের সংক্রমণ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। শিশু ওয়ার্ডে বিছানা, মেঝে এমনকি বারান্দাতেও জায়গা নেই।

শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা নার্সসহ চিকিৎসকদের। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সময়ে জ্বর-ঠাণ্ডা লাগলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

মমেক হাসপাতালের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ১৩৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এই নিয়ে ৭২ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে তিন ইউনিটে ভর্তি শিশু রোগীর সংখ্যা ৪২৬। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপের কারণে ওয়ার্ডের বিছানা, মেঝে ও বারান্দাসহ করিডোরেও রোগীদের রাখতে হচ্ছে।

ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসা পূর্বধলার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে উলিউল্লাহ প্রথমে জ্বর, ঠান্ডা সর্দি পরে শ্বাস কষ্ট শুরু হলে পূর্বধলার হাসপাতালের ভর্তি করান। পরে উন্নত চিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপালে শিশু ওয়ার্ডে এনে ভর্তি করেন। ভর্তির পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় তার নিউমোনিয়া হয়ে গেছে। এরপর থেকেই ইনজেকশনসহ অন্যান্য ওষুধ চলছে।

গৌরীপুর থেকে আসা শিশু রোগী আয়ানের মা শারমীন সুলতানা সাথী বলেন, গ্রামে শীত শুরু হয়ে গেছে, ভোরে কুয়াশা পড়ে। সেই কুয়াশা থেকে তার ছেলের ঠান্ডা-সর্দি ও জ্বর শুরু হয়। পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেলে হাসপাতালে এনে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তিনি।

শিশু ওর্য়াডের সহকারী অধ্যাপক ডা. বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, শীতের শুরুতে বিশেষ করে অক্টোবরের শেষে এবং নভেম্বরে শিশু রোগীর সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়তে থাকে। এবারও শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই রোগী হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ ও নার্সসহ কর্মরত চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আমরা আন্তরিকভাবেই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস বলেন, শিশু ওয়ার্ডে রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারিভাবে সরবরাহ করা হাসপাতাল থেকে সব ওষুধই রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। কর্মরত নার্স ও চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে-বসবে গ্রেপ্তার করবে : শাহজাহান চৌধুরী

মারা গেলেন বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখ নজরুল ইসলাম

আপনি কি জানেন, কেন তালার নিচে ছোট্ট ছিদ্র থাকে?

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যের আকস্মিক মৃত্যু

‘নেপাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন রাবির সাবেক শিক্ষার্থী

পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি : শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের রায় ২৭ নভেম্বর

২৪ ঘণ্টায় ৯১ ভূমিকম্প

গুমের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর

ছেলেটাকে খুব ছুঁয়ে দেখতে মন চায়: মাহিয়া মাহি

হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১০

আসবাবের যেসব রং ঘরকে সুন্দর ও আরামদায়ক দেখাবে

১১

বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

১২

বড় জয়ে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

১৩

রাত হলেই শিশুপার্কটি হয়ে ওঠে মাদকের আড্ডাখানা

১৪

অপেক্ষা বাড়ছে বাংলাদেশের, দরকার ২ উইকেট

১৫

আয়ারল্যান্ড সিরিজে থাকছেন না তাসকিন, বদলি কে

১৬

নদীগর্ভে বিলীন সড়ক, ৩ জেলার যোগাযোগে দুর্ভোগ

১৭

অসৎ লোককে নির্বাচিত করলে কপালে ভোগান্তিই আসবে : দুদক চেয়ারম্যান

১৮

বড় আকারের ভূমিকম্প মোকাবিলা নিয়ে উদ্বেগ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

১৯

দুই দিনে টেস্ট জিতে বড় ‘বিপদে’ অস্ট্রেলিয়া

২০
X