নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও তপশিল ঘোষণার প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। চলমান হরতাল কর্মসূচির মধ্যেই কারাগার থেকে বের হয়ে ছাদখোলা মাইক্রোবাস নিয়ে শোডাউন করেছেন বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান।
রোববার (১৯ নভেম্বর) বিএনপির হরতাল কর্মসূচি চলাকালে এমন কাণ্ডে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাবেক এ সংসদ সদস্য। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষোদগারমূলক মন্তব্য করছেন নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর অবরোধের সমর্থনে বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডে মিছিল করার সময় গ্রেপ্তার হন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান। গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় জেল গেটে তার সমর্থক নেতাকর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন। পরে একটি ছাদ খোলা মাইক্রোবাসে শোভাযাত্রা নিয়ে নগরীর সদর রোড থেকে নিজ গন্তব্যে যান তিনি।
এদিকে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে অনেকেই বিএনপি নেতাকে নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করছেন।
কবির খান নামে বিএনপির এক কর্মী লিখেছেন, ‘নির্বাচনের নমিনেশন নিয়ে হাজির আবুল ভাই।’
নুরুল ইসলাম নামে অপর একজন লিখেছেন, ‘চলমান হরতালের মধ্যে একজন নেতার এভাবে গাড়িতে করে শোডাউন দেওয়া উচিত হয়নি।’
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার আগে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমার ধরাণা ছিল, পুলিশ আবার আমাকে গ্রেপ্তার করবে। সে কারণে গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘কারাগারের প্রধান ফটকে অসংখ্য নেতাকর্মী জড়ো হয়েছিল। এ সময় গাড়িতে উঠে নেতাকর্মীদের হাত তুলে অভিবাদন জানিয়েছি মাত্র। যারা সমালোচনা করেন, তারা তো মাঠে নেই, আমি মাঠে আছি।’
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, ‘আমি দেখেছি আবুল ভাই জেল গেট থেকে বেরিয়ে সাদা একটি গাড়িতে চড়েছেন। হরতালের মধ্যে এটা একধরনের ভুল হতে পারে। জেল গেটে কিছু কর্মী গেছে। তবে সেখানে শোডাউন কিংবা ফুল দিয়ে বরণ করা হয়নি।’
কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, ‘হরতালের সময় একজন দলীয় নেতার শোডাউন দেওয়া উচিত হয়নি। এটি দুঃখজনক। এখন তো ফুলের মালা নেওয়ারও সময় নেই।’
তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা বিএনপির অধীনস্ত বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত হোসেন বাচ্চু, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলামও মাঠে নামছে না।’
মন্তব্য করুন