‘সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়া একটি গুরুদায়িত্ব, যেটা দলের হাইকমান্ড থেকে আমাকে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি দলীয় সভানেত্রী ও দলের নীতি-নির্ধারকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি প্রথমেই দল-মত নির্বিশেষে গাংনীর আপামর জনতাকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাই। এরপর দলের পক্ষ থেকে আমাকে জনপ্রতিনিধিত্ব করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেটাকে আমি দায়িত্ব হিসাবে নিয়ে আমি আমার সংসদীয় আসনে বেকারত্ব দূর করতে কাজ করতে চাই। আমার সংসদীয় আসন গাংনীতে শিক্ষিত বেকারের হার অনেক বেশি। শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান ও এ লক্ষ্যে তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগ নেওয়াটাই হবে আমার প্রথম কাজ। এ ছাড়াও আমি যেহেতু একজন চিকিৎসক সেজন্য আমার সংসদীয় আসন গাংনীসহ সমগ্র মেহেরপুর জেলার স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন নিয়েও কাজ করতে চাই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন মেহেরপুরে যথেষ্ট হয়েছে।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-২ (গাংনী) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কালবেলাকে এসব কথা বলেন ডা. এ এস এম নাজমুল হক সাগর।
ডা. এ এস এম নাজমুল হক মেহেরপুর জেলার গাংনী মোহাম্মদপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ নূরুল হক সামরিক অফিসার ও সফল প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি গাংনী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সভাপতি, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, গণপরিষদ সদস্য ও পরবর্তীতে সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মেজ বোন সেলিনা পারভীন ২০১৪ সালে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ডা. এ এস এম নাজমুল হক শিক্ষা জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২-৯৩ সালে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪-৯৫ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে ১৯৯৫-৯৭ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সরকারি চাকরিজীবী হিসাবে তিনি ২৩তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান করেন। তবে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে ২০২০ সালে (চাকরির মেয়াদ ছিল ২০৩২ সাল পর্যন্ত) সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন তিনি।
ড. নাজমুল হক সাগর আরও বলেন, ছোট বেলা থেকে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠায় সকল শ্রেণির মানুষের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক আছে। তৃণমূল কর্মীদের সাথে আছে বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকার ফলে সকল শ্রেণির মানুষ নির্দ্বিধায় আমার সাথে সকল বিষয়ে বিশ্বাসের সাথে আলোচনা করতে পারেন। আমার প্রত্যাশা আমিও আমার বাবার মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দলীয় সভানেত্রীকে মেহেরপুর-২ সংসদীয় আসনটি জনপ্রতিনিধি হয়ে উপহার দিতে পারব।
মন্তব্য করুন