নোয়াখালীর চাটখিলে চাঞ্চল্যকর শিশু ফেহা আক্তার (০৭) হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান সেন্টুর (৩৮) স্ত্রী সেলিনা বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।
ওই জবানবন্দিতে তিনি তার স্বামী মিজানুর রহমান সেন্টুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ঘাতক সেন্টুর মেয়ের সাথে মারামারি করার জের ধরেই শিশু ফেহা আক্তারকে নির্মমভাবে খুন করা হয় জানায় তারা।
পুলিশ জানায়, ঘটনার ১৫ দিন আগে গ্রেপ্তার আসামি সেন্টুর মেয়ে তানহার (৭) সাথে খেলাধুলা করার সময় মারামারি হয় নিহত ফেহার। এ ঝগড়ার জের ধরেই গত রোববার বিকেলের দিকে তার বাবাকে দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে ফেহাকে ডেকে নেয় ঘাতক সেন্টু। একপর্যায়ে সে ফেহাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেয়।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি হচ্ছে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের যজোড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির মিজানুর রহমান সেন্টু (৩৮) ও তার পিতা আব্দুস সাত্তার (৭০)। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিদের নোয়াখালীচিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনার অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তার এবং ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই ইউনিয়নের যশোড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড় থেকে নিহত ফেহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফেহা আক্তার চাটখিল থানাধীন মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের যশোড়া গ্রামের সালামত পাটোয়ারী বাড়ির ফারুক হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিল। ঘটনার দিন ফেহার বাবা বাদী চাটখিল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন