চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক পোশক শ্রমিককে (১৮) ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শিকলবাহা ইউনিয়নের জামালপাড়া এলাকায় হাসনাত ভবনের একটি ভাড়া বাসায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে এলাকার লোকজন ভাড়াবাসাটি ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী থানায় ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, শিকলবাহার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত আবদুল গফুরের পুত্র ও ভবনের কেয়ারটেকার মো. সেকান্দর (৩৮), পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মনসা এলাকার ইদ্রিসের পুত্র মো. নাঈম উদ্দিন (২৮), আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন বাদামতল এলাকার বজল বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছেলে মো. মুছা (৪৭)।
মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, নগরীর পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাধে পরিচিয় হয় সহকর্মী মালিয়ার (১৯) সঙ্গে। পোশাক কারখানার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে মালিয়া তার পরিচিত কর্ণফুলীর শিকলবাহার সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন ভিকটিমকে। ৬ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে সহকর্মী মালিয়া তাকে কর্ণফুলীতে এনে তার পরিচিত গ্রেপ্তারকৃত মুছার (৪৭) হাতে তুলে দেন। মুছা সিএনজিযোগে নিয়ে আসেন কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের জামালপাড়া এলাকার হাসনাত ভবনে। এরপর মুছাসহ গ্রেপ্তারকৃতরা ওই ভবনে নিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভিকটিমকে। পরে ঘটনাটি স্থানীয়দের নজরে আসলে এলাকার লোকজন বাসাটি ঘেরাও করে। পরে পুলিশ এসে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওই বাসার কেয়ারটেকার সেকান্দর প্রায় সময় এ বাসায় অসামাজিক কাজ করে। তিন মাস আগেও তাকে এ ধরনের কাজের জন্য এলাকার লোকজন সতর্ক করেছিল।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেন বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অপরাধে ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজন এবং পরে আরও একজনসহ তিনজকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
মন্তব্য করুন