ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ এমভি সাগর নন্দিনী-২ এ অগ্নিকাণ্ডের এক দিন পর একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে জাহাজের ইঞ্জিনরুম থেকে আব্দুস সালাম হৃদয় নামের এক গ্রিজারম্যানের মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা দক্ষিণ জোন কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৪ জন।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা দক্ষিণ জোন কোস্টগার্ডের অফিসার লেফট্যানেন্ট সাফায়েত। তিনি জানান, দুপুরে জাহাজের ইঞ্জিনরুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মরদেহটি পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে মরদেহটি জাহাজের গ্রিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের বলে শনাক্ত করেছেন তার মামা শফিকুল। হৃদয় হবিগঞ্জের মাধবপুর গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সাগর নন্দিনী-২ ট্যাংকারটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পাড়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানির জন্য জ্বালানি তেল নিয়ে আসে। ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে সেটি নোঙ্গর করা ছিল রাজাপুর গ্রামের কাছে।
শনিবার (১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ করেই ট্যাংকারটিতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে জাহাজের ৫ জন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিস্ফোরণের পরই জাহাজ থেকে উদ্ধার হওয়া বাবুর্চি বলে আসছেন জাহাজটিতে মোট ৯ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন ৪ জন। শনিবার থেকেই তাদের খোঁজে নদীর ধারে অপেক্ষা করছেন পরিবারের সদস্যরা।
স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, জাহাজের মাস্টার রুহুল আমীন খান, সুপারভাইজর মাসুদুজ্জামান বেলাল এবং সুকানির সহযোগী আকরাম হোসেন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
সাগর নন্দিনী-২ নামের এই জাহাজটি মাত্র ছয় মাস আগে ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে চাঁদপুরে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে যাওয়ার পথে ভোলার তুলাতুলি কাঠিরমাথা এলাকায় ডুবে গিয়েছিল। তখন কুয়াশার মধ্যে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে ট্যাংকারটির তলা ফেটে গিয়েছিল।
অপরদিকে এখন পর্যন্ত বিস্ফোরিত জাহাজটি থেকে ৪ লাখ লিটার তেল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন