ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। সূর্যের দেখা মেলেনি চার দিনেও। উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস হাড় কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি দিচ্ছে। এতে জবুথবু হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে আগুন জ্বেলে তাপ পোহাচ্ছে মানুষ। সে সঙ্গে গৃহপালিত পশুকেও সাধ্যমতো শীত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। আয় রোজগার কমে যাওয়ায় কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে দিনমজুর পরিবারগুলো। প্রাণিকুলও বৈরী আবহাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে। গবাদি পশুকে শীত থেকে বাঁচাতে পাটের বস্তা, পুরোনো কাপড় গরু-ছাগলের গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সে সঙ্গে গৃহস্থ তাপ পোহানোর সময় সুযোগ বুঝে গবাদি পশু পাশে রাখছেন। বাসিন্দারা বলছেন, তীব্র শীতে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে পশু। এতে চিকিৎসা দিয়ে সারিয়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়বে।
ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, গত পাঁচ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শনিবার সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতার কারণে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রনকাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। ঠান্ডাজনিত রোগে দেড় মাসে ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, শীত বস্ত্রের কোনো সংকট নেই। অসহায়দের মধ্যে তা বিতরণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন