লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লালমনিরহাটে দেখা নেই সূর্যের, শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে দুঃসংবাদ

লালমনিরহাটে দুপুরেও দেখা মিলছে সূর্যের। ছবি : কালবেলা
লালমনিরহাটে দুপুরেও দেখা মিলছে সূর্যের। ছবি : কালবেলা

লালমনিরহাটে টানা শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। দিনে রাতে প্রায় সমপরিমাণে শীত অনুভূত হচ্ছে। গত ৮ জানুয়ারি থেকে মিলছে না সূর্যের দেখা। আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে, শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।

এদিকে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। দিনভর থাকে হিমেল হওয়া। সন্ধ্যা না নামতেই হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় কুয়াশা। রাত যত গভীর হয় কুয়াশার মাত্রা বেড়ে যায়। রাতভর বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। চলে সকাল ৯টা পর্ষন্ত। পরে কুয়াশা কমলেও অব্যাহত হিমেল হাওয়ায় কমে না শীতের প্রকোপ। গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রকোপ আরও বেশি থাকায় কৃষকরা ক্ষেত খামারে কাজ করতে পারছে না, গবাদি পশু নিয়ে পড়ছেন বিপাকে। বেশি দুর্ভোগে আছেন তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষজন। শ্রমজীবীরা তীব্র হিমেল হাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কাজ করতে না পারায় অর্থকষ্টে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ।

শীতে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষজনের ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। জেলার পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলা সদর হাসপাতলে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

জেলার বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা যায়, চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ।

লালমনিরহাটের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা চরের রহিম মিয়া বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাসে আমরা কাজে যোগ দিতে পারছি না।

সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা চরের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, রাতে বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। দিনের বেলাতেও কুয়াশায় দুই চোখে কিছু দেখা যায় না। কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতে নষ্ট হচ্ছে আলু ক্ষেত ও বোরো বীজতলা।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৮টা থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলেও তিনি জানান।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, ঘন কুয়াশায় তীব্র শীতের কারণে কয়েক দিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মধ্যে বরাদ্দকৃত ২৪ হাজার কম্বল বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি আরও ২ হাজার কম্বল এসেছে বলেও তিনি জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৪০ মিনিটেই তুর্কমেনিস্তানের জালে বাঘিনীদের ৭ গোল 

ঢাকা বিভাগে ৫৬ সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

পবিত্র আশুরা জুলুমের বিপরীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সাহস জোগাবে : প্রধান উপদেষ্টা

মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ডের মূল হোতা শাহ পরান কারাগারে

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে চাপ দিচ্ছেন মাখোঁ

তিন মাস পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল ভারতীয় পুলিশ

১২ দেশের শুল্কের চিঠিতে সই করেছেন ট্রাম্প, বাংলাদেশ আছে কি?

কলম্বোতে ২৪৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ

গুমের শিকার ব্যক্তিদের বর্ণনায় বন্দিশালার ভয়াবহতা

যুবদল নেতার ছেলের রহস্যজনক মৃত্যু, সিসিটিভির ফুটেজ গায়েব

১০

পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

১১

পিছিয়ে গেল ভারতের বাংলাদেশ সফরের সূচি 

১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত

১৩

সন্ত্রাসবিষয়ক তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ

১৪

সন্তান ইস্যুতে তিশাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন জাওয়াদ নির্ঝর

১৫

প্রহরী-শ্রমিকদের জিম্মি করে কোটি টাকার মালামাল লুট

১৬

চোখের জলে বিদায়, গন্ডোমারে জোতার শেষযাত্রায় লিভারপুল দলের উপস্থিতি

১৭

মেয়ের বাড়িতে যাওয়া হলো না বৃদ্ধ বাবার

১৮

ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে চীন ও তুরস্ক

১৯

ঢাবিতে সনাতনী জোটের বিক্ষোভ

২০
X