ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বিএনপি নেতা হোমিও চিকিৎসক হারুন অর রশিদ হারুন (৫৫) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহাম্মদ দীপ্ত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
পাগলা থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, মামলায় আসামি করা হয়েছে হত্যার ঘটনায় জড়িত রুবেল মিয়াকে। এছাড়াও মামলায় আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হারুন অর রশিদের সঙ্গে রুবেল মিয়ার পারিবারিক কোনো ঘটনা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সব ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সোমবার দুপুরে নিহত হারুনুর রশিদ হারুন গয়েশপুর বাজারে ছাগলহাটায় বসে চা পান করছিলেন। এ সময় ডাক্তার হারুনের সঙ্গে রুবেলের ঝগড়া এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। এর কিছুক্ষণ পর রুবেল দা নিয়ে ডাক্তার হারুনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় হারুন দৌড়ে পালাতে গিয়ে কাঁচাবাজার গলিতে ছিটকে পড়ে যান। সেখানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে রুবেল। পরে উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি ঘেরাও করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে গণপিটুনি দিয়ে রুবেলকে পুলিশে দেয় জনতা। ঘাতক রুবেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে পুলিশ পাহারায় ঢাকা আগারগাঁও নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গয়েশপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেলিম জানান, ডাক্তার হারুন অর রশিদ একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মামলার বাদী নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহম্মদ দীপ্ত জানান, আমার বাবাকে সন্ত্রাসী রুবেল কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে গয়েশপুর বাজারে দা নিয়ে উল্লাস করেছে। আমি হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানান তিনি।
পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, নিহত হারুন অর রশিদ হারুন ওই ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ছিলেন। তিনি গোয়ালবর গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। ঘাতক রুবেল মিয়া একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।
মন্তব্য করুন