পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জুয়ার টাকা জোগাতে নবজাতক বিক্রি করলেন মা-বাবা

নবজাতক বিক্রিতে অভিযুক্ত দম্পতি। ছবি : কালবেলা
নবজাতক বিক্রিতে অভিযুক্ত দম্পতি। ছবি : কালবেলা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নবজাতক বিক্রি করে দিলেন মা-বাবা। জুয়ার টাকা জোগাতে হেরেন-ঝুম্পা দম্পতি এ কাণ্ড করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বরিশাল ইউপির ভবানীপুর গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, ভবানীপুর গ্রামের হেরেন চন্দ্র বিশ্বাস পেশায় একজন কর্মকার। কাজের পাশাপাশি জুয়া খেলা তার নেশা। প্রায় ২৩ বছর আগে ঝুম্পাকে বিয়ে করেন তিনি। অভাবের সংসারে রনি, নিরঞ্জন, রাবিন্দ্র ও জয়দেব নামে চার ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তার স্ত্রী ঝুম্পা পঞ্চম বারের মতো একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন।

প্রতিবেশীরা জানান, একদিকে জুয়ার নেশা, সংসারের অভাব এবং অপরদিকে কপট মানসিকতার এ দম্পতি তাদের সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া সন্তানকে বিক্রি করে দেন। গোবিন্দগঞ্জ পান্থাপাড়া এলাকায় গোবিন্দবাবুর স্ত্রী ভক্তিরানী নবজাতককে কিনে নেন। পরে ভক্তিরানী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রাপ্তের সহযোগিতায় ওই নবজাতককে ফের বিক্রি করেন। তবে তারা কার কাছে তা বিক্রি করেছেন তা জানা যায়নি।

সন্তানের মা ঝুম্পা রানী সাংবাদিকদের বলেন, জুয়া তার স্বামীকে ধ্বংস করেছে। সংসারে অভাবের কারণে তিনি এ কাজ করেছেন। তবে সন্তান কার ঘরে আছে তিনি জানেন না। যিনি সন্তান নিয়ে গেছেন তিনি একটি কাগজে তাদের সই নিয়েছেন।

সন্তানের বাবা হেরেন চন্দ্র বলেন, ‘আমি আগে জুয়া খেলতাম। এখন আর খেলি না। সংসারে অভাব কারণে সন্তান দত্তক দিয়েছি। মাইক্রোবাসে করে সন্তানটিকে ওরা নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রান্ত ভালো জানেন।’

পরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রান্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নবজাতক কোথায় আছে বলা যাবে না।

তবে প্রথমবার ক্রয় করা ভক্তিরানী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু টাকা নিয়ে যান। সন্তান রাজশাহীতে আছে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না 

শীত আরও বাড়বে কিনা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

নওগাঁয় শীতের তীব্রতায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে 

জুলাই আন্দোলনে আহত না হয়েও প্রতি মাসে ভাতা তুলছেন যুবক

চিড়িয়াখানায় সিংহের কাছে গিয়ে প্রাণ হারাল কিশোর

দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনসিপির সদস্য সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট

ইতিহাস বদলে দিল বাংলাদেশ, যা আগে কখনো ঘটেনি

মেহেদির রং না শুকাতেই নববধূ ইলমা বিধবা

১০

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাকে শোকজ

১১

ভেজাল গুড় খেলেই হতে পারে যেসব জটিল রোগ

১২

শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু ৪১০, নিখোঁজ ৩৩৬

১৩

বেগম জিয়ার অসুস্থতা হাসিনার কারণেই : রিজভী

১৪

সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশইন বিএসএফের

১৫

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে উৎসবমুখর : প্রধান উপদেষ্টা 

১৬

পর্তুগালের জালে এক হালি গোল দিয়েও মন ভরেনি ব্রাজিলের

১৭

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৮

সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া যুবশক্তির ২ নেতাকে অব্যাহতি

১৯

‘আমি আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হবো?’—প্রশ্ন বিজয়ের

২০
X