বিশ্ব যুব উৎসবে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় যাচ্ছেন ৯৫ জন তরুণ। এর মধ্যে ৫৩ জনের সব খরচ বহন করবে রাশিয়া। বাকিদের বহন করতে হবে নিজেদের ফ্লাইটের টিকিটের খরচ। এই ৯৫ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে অংশ নিচ্ছেন ৯ জন।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালের বাংলাদেশের জাতীয় প্রস্তুতি কমিটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে অবস্থিত রাশিয়ান অ্যাম্বাসাডর কনস্যুলার আশিক ইমরান, বিশ্ব যুব উৎসব রাশিয়ার বাংলাদেশ প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান তারেক মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দীন হায়দার।
এ উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, পর্যটন, লোক ও হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, পাটের থলে, মুদ্রা, মিষ্টি, খাবার। ইতোমধ্যে প্রায় সকল প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১-৭ মার্চ রাশিয়ার সিরিয়াস ফেডারেল টেরিটরিতে (সোচি) অনুষ্ঠিত হবে এ বিশ্ব যুব উৎসব।
২০১৭ সালেও একবার রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ আয়োজন। সেখানে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮৫ জন অংশ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ব যুব উৎসব রাশিয়ার বাংলাদেশ প্রস্তুতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন হায়দার।
তিনি বলেন, ৩২ জন যুব প্রতিনিধি রিজিওনাল প্রোগ্রামে সুযোগ পাবেন। এবার উৎসবে অংশ নিতে ১৮৮টি দেশের ৩ লাখ ৯ হাজার ৫৪২টি আবেদন জমা পড়েছিল। তবে অংশ নেবেন ১০ হাজার বিদেশি ও ১০ হাজার রাশিয়ান। কর্মদক্ষতা, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস, সাংস্কৃতিক অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক কার্যক্রম, শিক্ষা, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়।
তিনি আশা করেন, উৎসব থেকে ফিরে অর্জিত শিক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন। উৎসবে রাশিয়ান সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রদর্শনী, বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী তুলে ধরা হবে।
আয়োজন থাকবে খেলাধুলা, কর্মশালা ও আলোচনা ইত্যাদি। সেখানে বাংলাদেশের স্টলে তুলে ধরা হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, পর্যটন, লোক ও হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, পাটের থলে, মুদ্রা, মিষ্টি, খাবার। একদিন অংশগ্রহণকারী পরবেন শাড়ি ও পাঞ্জাবি। তাদের হুডি পোশাকে স্মৃতিসৌধ ও রিকশাচিত্র থাকবে।
বিশ্ব যুব উৎসব রাশিয়ার জাতীয় প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান তারেক মাহমুদ বলেন, ২০১৭ সালে এ প্রোগ্রাম হয়েছিল। এবার ২৭-২৯ ফেব্রুয়ারি ফ্লাইটে অংশগ্রহণকারী ৯৫ জন যাবেন রাশিয়ায়। এর মধ্যে ৯ জন চট্টগ্রামের। এ ছাড়া ১০ জন সাংবাদিক যাচ্ছেন নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করতে। এটি আমাদের জন্য গৌরবের।
রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, রাশিয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থী, বিশেষজ্ঞদের নেওয়া হয় উৎসবে। এখানে অর্জিত দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারবেন। রাশিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতাকাল থেকে আন্তরিক বন্ধু। আশা করি, যারা এ উৎসবে যাবেন তারা দেশের দূত হিসেবে কাজ করবেন। রাশিয়া সরকার বিভিন্ন খাতে ১৪২টি বৃত্তি দিচ্ছে। আগামীতে আরও বাড়ানোর প্রচেষ্টা আছে।
মন্তব্য করুন