এক সময়ের কৃষি অধ্যুষিত পাইকগাছা-কয়রা লবণ পানির আগ্রাসনে বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। একসময় এখানে প্রতিটি বাড়িতে গোলাভরা ধান আর গোয়ালভরা গরু ছিল। কৃষিকাজ করে সবাই সুন্দর জীবন-যাপন করত। এখন চিংড়ি চাষের নামে লবণ পানির অবাধ ব্যবহারের ফলে গত ৪ দশকের ব্যবধানে উপকূলীয় এ জনপদে মানুষের বসবাস অনুপযোগী হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান।
তিনি শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাইকগাছার চারবান্ধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সোলাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখানকার প্রাণ প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়েছে। নদ-নদী ও সরকারি খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। খাবার পানির চরম সংকট তৈরি হয়েছে। কাজের অভাবে হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এলাকা মানুষশূন্য হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এখানে কোনো মানুষ বসবাস করতে পারবে না। আমরা যেভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছি তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশেই বেঁচে থাকতে চাই।
তিনি আরও বলেন, লবণ পানির ক্ষতিকর দিক সংসদে তুলে ধরেছি। লবণ পানির কোথায় ব্যবহার হবে তা প্রধানমন্ত্রী আইন প্রণয়ন করার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবেন। এলাকা লবণ পানি মুক্ত হোক এটা এখানকার বেশিরভাগ মানুষের চাওয়া। এ জন্য চলতি বছর এক ইঞ্চি জায়গা পতিত না রেখে ঘের মালিকরা বাধ্যতামূলক ধান রোপণ করার শর্তে চিংড়ি চাষ করতে পারবে। কিন্তু ২০২৫ সাল থেকে পাইকগাছা-কয়রার কোথাও কেউ লবণ পানি উত্তোলন করতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ নেতা প্রমথনাথ মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা সমীরণ সাধু, শেখ কামরুল হাসান টিপু, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম রবিসহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন