

পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজান জোয়ার্দারকে জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় তাকে জড়িয়ে একটি মহল অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি এই নেতা।
জানা গেছে, উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের কুমখালী মৌজার বিরোধপূর্ণ ৯ বিঘা জমি নিয়ে সরকার পক্ষ এবং স্থানীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। বন্দোবস্ত গ্রহীতাদের নিকট থেকে খরিদ সূত্রে দক্ষিণ কুমখালী গ্রামের মৃত দীনেশ বৈদ্যের ছেলে ধীমান বৈদ্য গংরা এ জমি দাবি করে আসছেন। অন্যদিকে গড়ইখালীর সোহরাব শেখের ছেলে ইয়াসিন শেখ সরকারের কাছ থেকে বর্গাদার নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে মোট জমির একাংশ দাবি করে আসছেন। এ ধরনের বিরোধে নালিশি জমি নিয়ে একাধিক পক্ষ সৃষ্টি হয়েছে এবং ধান রোপণ থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত একে অপরের মধ্যে বিরোধ বিরাজমান রয়েছে।
সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানান, উভয়পক্ষ ধান রোপণ করেছে। আবার ধান কাটার পর উভয়পক্ষ ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। শুধু শুধু ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজান জোয়ার্দারকে জড়িয়ে অপপ্রচার করে সুবিধা নিতে চাইছে একটি পক্ষ।
এ বিষয়ে ইয়াসিন শেখ বলেন, কুমখালী মৌজায় এসএ এবং আরএস ১নং খতিয়ানে, এসএ ৩৭৬ এবং আরএস ৬১১ এবং ৬২৪ দাগে ১.১৬ একর জমি গড়ইখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে বর্গাদার নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৬ সাল থেকে চাষাবাদ করে আসছি। নালিশি জমিতে আমি এবং ধীমান গংদের পক্ষে চন্দন ও মোহন ধান রোপণ করেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর আমি এবং ধীমানের গংদের পক্ষে মোহন ধান কাটার পর ধান ভাগবাটোয়ারা করার সময় ঝামেলা হয়। এসময় উপস্থিত বাবুল হোসেন বাবু গাইনের মধ্যস্থতায় আমাকে এক হাজার আঁটি ধান দেওয়া হয় এবং ধীমান মোহন গংদের দেড় হাজার আঁটি ধান দেওয়া হয়। এভাবেই বিলের মধ্যেই বিষয়টি সমাধান করা হয়। পরে জানতে পারছি ধীমান বৈদ্য বিএনপি নেতা মিজান জোয়ার্দার ও আমাকে জড়িয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। অথচ ধান কাটা এবং ভাগবাটোয়ারার সঙ্গে মিজান জোয়ার্দারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
ভুক্তভোগী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজান জোয়ার্দার অভিযোগ করে বলেন, ধান কাটার সঙ্গে আমার ন্যূনতম কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। একটি মহলের প্ররোচনায় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ এবং গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার করে একটি পক্ষ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এ ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি অনুরোধ করেছেন।
এ বিষয়ে থানার এসআই আল আমিন বলেন, ধান কাটার বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়টি সমাধানে আগামী ২৮ ডিসেম্বর উভয়পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি যদি মীমাংসা না হয় তাহলে উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন