রংপুরের পীরগাছায় ১১ মণ সরকারি বই বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম মুকুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ ভাঙারি মালামাল ক্রেতা সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের পাওটানাহাট এলাকায়। পরে ওই দিন রাতেই বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দুলালকে বাদী করে একটি মামলা হয়।
মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম দুলাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাকে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ডেকে এনে মামলার বাদী করেছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব ভালো। উনি যদি পরে মামলাটি তুলে নিতে বলেন তাহলে তিনি তুলে নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকারের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে পাওটানাহাটে একটি ভাঙাড়ি দোকানে বিক্রির জন্য সাইফুল ইসলাম ভ্যানে করে দুই বস্তা বই নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ভ্যান থেকে কিছু বই পড়ে গেলে বইগুলো দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে বস্তা খুলে দেখেন সেগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সালের নতুন বই। এ সময় স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি বইগুলি দক্ষিণ ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম মুকুল ও তার স্ত্রীর নিকট থেকে ২০ টাকা কেজি দরে কিনে এনেছেন। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বইসহ সাইফুল ইসলামকে থানায় নিয়ে যায়। সাইফুল ইসলাম উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের দামুশ্বর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কিসামত ছাওলা গ্রামের আমান আলী মুহুরীর ছেলে।
মন্তব্য করুন