গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্নআয়ের মানুষ

গোয়ালন্দ কাঁচাবাজার। ছবি : কালবেলা
গোয়ালন্দ কাঁচাবাজার। ছবি : কালবেলা

সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমদানি বেশি থাকলেও কিছু পাইকারি ব্যবসায়ীর জন্য দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৮০ টাকা, চলতি সপ্তাহে তা ১২০ টাকা, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুনের মূল্য ছিল ২৫ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৬০ টাকা। শসার কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা।

প্রতি কেজি আদা ২০০ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ২৩০ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ২২০ টাকা, প্রতি কেজি আলুর দাম বেড়ে ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি টমেটো ২৫ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ৪০ টাকা, প্রতি হালি লেবু ১৫ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ৬০ টাকা।

ছোলা প্রতি কেজি ৯০ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ১১০ টাকা। এভাবে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, তেল, শুকনা মরিচ, লবণ, সরিষা তেলের দাম। অন্যদিকে মাছ-মাংস এখন অনেকটাই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মুরগির বাজার এক-দেড় মাস ধরেই অস্থির। দফায় দফায় বেড়ে ব্রয়লারের কেজি এখন ২২০-২৩০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩০০-৩৩০ টাকা। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা দরে। মাসের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে মানভেদে রুই-কাতলার কেজি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা। চাষের তেলাপিয়া পাঙাশও ২০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।

গোয়ালন্দ বাজারে কাঁচামাল বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, কাঁচা পণ্যের দাম বাড়ার কারণ হলো পাইকারি ব্যাবসায়ীরা। তারা সকাল থেকে ওঁৎ পেতে থাকে পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে পণ্য কিনে অধিক মুনাফার আশায় রাজধানীতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বিক্রেতাদের ওপর।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে থাকলে আমাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। আমরা বাসা থেকে পূর্বের মূল্য অনুযায়ী হিসাব করে টাকা এনে পরে দাম বাড়ার কারণে দুএকটা আইটেম কিনতে পারি না।

ক্রেতা কুতুব উদ্দিন বলেন, আমি পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাই। ৫ জনের পরিবার আমি একাই কামাই করি। আগে প্রতিদিন অনেক বেশি পত্রিকা বিক্রি করতাম। এখন তা অর্ধেকে নেমে গেছে। এখন যা পত্রিকা বিক্রি করি তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। রমজান মাসে বাজারের যা দাম এখন দেখি শুধু পানি খেয়ে রোজা থাকতে হবে, সরকার যদি আমাদের জন্য কিছু করত অনেক ভালো হতো। বিশেষ করে বাজারের সকল পণ্যের দাম একটু কমালে আমাদের মতো মানুষ খেয়ে পরে বাঁচতে পারত।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, আমরা নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করছি। আমরা দোকানদারদের বলছি যাতে কোনোভাবে মূল্যবৃদ্ধি করা না হয়। কোনো দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

খালেদা জিয়ার তিন আসনের নির্বাচন নিয়ে আইন কী বলছে

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মমতা ব্যানার্জীর শোক প্রকাশ

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি এক মহান অভিভাবককে হারাল : ১২ দলীয় জোট 

খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ার প্রস্তুতি চলছে

রংপুরের ছয় আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৫৬ জন প্রার্থী

বিলিয়নিয়ারের তালিকায় বিয়ন্সে

রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার অবদান মানুষ মনে রাখবে: মাশরাফী

কোন কোন বিশ্বনেতার সঙ্গে দেখা করেছেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হবে সংসদ ভবনে, সময় জানালেন প্রেস সচিব

১০

খালেদা জিয়ার মৃত্যু, তারেক রহমানের স্ট্যাটাস

১১

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আজহারীর শোক প্রকাশ

১২

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ঢাবিতে তিন দিনের শোক

১৩

খালেদা জিয়ার মৃত্যু / সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যে নির্দেশনা

১৪

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাবির ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

১৫

রাষ্ট্রীয় শোকেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, যা জানাল অধিদপ্তর

১৬

নিকলীতে ৩ দিন ধরেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

১৭

তীব্র শীতের মধ্যেও দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

১৮

বড় চমক রেখে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

১৯

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মুক্তির প্রেরণা জুগিয়েছেন খালেদা জিয়া : প্রধান উপদেষ্টা

২০
X