

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি কখনোই কেবল দেশের সীমানায় আবদ্ধ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার পথচলা বিস্তৃত ছিল আন্তর্জাতিক কূটনীতির অঙ্গন পর্যন্ত। ফার্স্ট লেডি থেকে প্রধানমন্ত্রী, আবার প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী। প্রতিটি অবস্থানেই তিনি সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ফার্স্ট লেডি থাকাকালীন সময়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার পরিচিতি গড়ে ওঠে। সে সময় তিনি সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার এবং নেদারল্যান্ডসের রানী জুলিয়ানার মতো বিশ্বনেতাদের সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কিংবা বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বেগম খালেদা জিয়ার কূটনৈতিক তৎপরতা আরও বিস্তৃত হয়। তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ১৯৯২ সালে ভারত সফর করেন। সেসময় তিনি তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পি.ভি নরসিমা রাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সঙ্গেও দেখা করেন।
এ ছাড়া ভারতের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। পাশাপাশি তৎকালীন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও তার দেখা হয়েছে। সবশেষ ২০১৪ সালে ভারত সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকার প্রধানের সঙ্গেও খালেদা জিয়ার বিভিন্ন সময় সাক্ষাৎ হয়েছে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ তাদের অন্যতম।
চীনের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ হয়েছে। সাবেক চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও তার কূটনৈতিক সাক্ষাৎকার হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৬ সালে সৌদি আরব সফরে গিয়ে তিনি তৎকালীন বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গেও কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিউইয়র্ক যান খালেদা জিয়া। সে সময় তৎকালীন ফার্স্ট লেডি হিলারির সঙ্গে তার প্রথমবার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এরপর কয়েকবার তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বেগম জিয়া।
মন্তব্য করুন