কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সফুর আলম (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পশ্চিম পোকখালীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালমুরাপাড়ার মৃত নমিউদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, নির্বাচনে টেলিফোন মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালাবের এক সমর্থককে আটক করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলমের সমর্থকেরা। খবর পেয়ে ছুটে যান সফুর আলম। এ সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতের শিকার হন তিনি।
পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার (সফুর আলম) মৃত্যু হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
নিহতের মরদেহ ঈদগাহ মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজারের কর্মকর্তা দেবজিত।
এ ঘটনার বিষয়ে প্রতিপক্ষের হাতে আটক হওয়া দেলোয়ার বলেন, নির্বাচন চলাকালে তিনি স্থানীয় একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে সেখানে তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা আটকে রাখে। খবর পেয়ে সফুর সেখানে ছুটে গেলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোনো সময় আরও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ছাড়া ঈদগাঁওতে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার ও নিজের এজেন্ট বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আকবর। এ সময় কয়েকশ কর্মী-সমর্থক তার সঙ্গে সড়কে অবস্থান নেয়। ফলে ঘণ্টাখানেক সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি কেন্দ্রের বাইরে। বাকি সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে কেউ অবহিত করেনি।
এদিকে হামলা, অবরোধ এবং প্রাণহানির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। এতে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে আবু তালেব ১৫,৯৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামসুল আলম মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১১,১৩৭ ভোট।
মন্তব্য করুন