আর্থিক লেনদেন ও বিয়ে সংক্রান্ত ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে লক্ষ্মীপুরের যুবক সজিব হোসেনকে। ব্যক্তিগত টাকা লেনদেনের বিবাদ নিয়ে সজিবকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে চার-পাঁচজন যুবক। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রাণ হারান সজিব।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সজিব দৌঁড়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে লক্ষ্মীপুরে মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি বাসার ঢুকছে এবং কিছুক্ষণ পর সেখানে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর আগে সজিব ফ্লাটের মালিক নোমানকে জানিয়েছিলেন যে, আর্থিক লেনদেন এবং টাকা পয়সা সংক্রান্ত ব্যাপারে সজিবের প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধ ছিল। তিনি বিএনপির কোন মিছিলে সে অংশগ্রহণ করেনি কিংবা কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
এর আগে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে ঘটনা জানানো হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিত পুলিশ সেই বাসা থেকে সজিবের মরদেহটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পুলিশের কোনো গুলিতে কেউ মারা যায়নি। সজিব মারা গেছেন ছুরির কোপে। তার শরীরে চিকিৎসকরা ৪টি কোপের চিহ্ন পেয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে সজিবের রক্তাক্ত দেহ এবং মারা যাওয়ার দৃশ্য।
এদিকে সজিবের মরদেহ নিয়ে বিএনপি রাজনীতি শুরু করেছে মনে মন্তব্য স্থানীয়দের। কেউ তাকে বলছে কৃষকদলের কর্মী, কেউ ছাত্রদলের কর্মী। নিজেদের কর্মী বলে বিএনপি সরকারের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছে, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও লাশের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ফলে যে কোনো মৃত্যুর দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন