ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে গত বুধবার (১২ জুন) থেকে তিন দিন ধরে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর মধ্যেই শুক্রবার (১৪ জুন) ভোর থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানবাহনের জট বাঁধে। এতে করে শুক্রবার ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পাডম থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস পর্যন্ত এই যানবাহনের যানজটে দীর্ঘ লাইন হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পুংলি ও সদর উপজেলার রসুলপুরের মাঝামাঝি এলাকায় একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক উল্টে গেলে যানবাহনের জট বাঁধে, সেখান থেকেই যানজট সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় শফিক এবং উজ্জল জানান, শুক্রবার ভোররাতেও মহাসড়কটির টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পৌংলী এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী লেনে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের পেছনে যাত্রীবাসের ধাক্কা লাগে।
অপরদিকে সকাল ৭টার সময় ময়মনসিংহ লিংক রোডে এলাকায় উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী গরুবাহী ট্রাক বিকল হয়। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রায় ৫ ঘণ্টাব্যাপী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন হয়। এতে এই এলাকায় যানবাহন চলে থেমে থেমে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি ও বিকল হওয়া গাড়ি সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই মহাসড়কটিতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অপরদিকে স্বাভাবিক সময়ে ২১টি জেলার প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ঈদের সময় এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এতে বিপুলসংখ্যক গাড়ি একসঙ্গে সেতু পার হতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
এতে গত ২৪ ঘণ্টায় বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ৪০ হাজার ৯০৬টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ টাকা।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার যানজট নিরসনে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় সাত শতাধিক পুলিশ কাজ করছে বলে জানান।
মন্তব্য করুন