চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করে কুমিল্লায় মালদ্বীপের তরুণী

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জহির হোসেন ও তার স্ত্রী মালদ্বীপের বাসিন্দা সাই। ছবি : সংগৃহীত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জহির হোসেন ও তার স্ত্রী মালদ্বীপের বাসিন্দা সাই। ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ৩৫ বছর বয়সী যুবক জহির হোসেন। ১০ বছর যাবৎ মালদ্বীপের রাজধানী মালে এসি ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছেন তিনি। গত দুই বছর আগে তার প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার মাঝে পরিচয় হয় মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশন ম্যানেজার সাই (৩২) এর সঙ্গে।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য ক্রয়ের সুবাদে বিভিন্ন সময় জহির হোসেনের সঙ্গে সাইয়ের নিয়মিত সাক্ষাৎ হতো। পরবর্তীতে সাই নিজেই জহির হোসেনের মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রায় সময় যোগাযোগ করত। এরইমাঝে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অবসর সময়ে দু’জনে মালদ্বীপের বিভিন্ন পার্কে ঘুরতেও যেত।

দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সাই তার পরিবারকে জানায়। পরিবার খোঁজ-খবর নিয়ে কিছুদিন অতিবাহিত করে। পরে পরিবার মেয়ে সাইয়ের পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে ছেলে ব্যবসায়ী জহির হোসেনকে বাসায় আমন্ত্রণ জানায়। সেখানে জহির হোসেনের সঙ্গে সাইয়ের পিতা-মাতার পরিচয় হয় এবং খোঁজ-খবর নেন।

সাইয়ের পরিবার ব্যবসায়ী জহির হোসেনকে জিজ্ঞেস করেন- আমাদের মেয়ে তোমাকে পছন্দ করেছে, বিয়ে করতে চায়, তুমি রাজি কিনা। জবাবে জহির হোসেন এক বাক্যে রাজি হয়ে যায়। সেই সিদ্ধান্তে প্রেমের সম্পর্ক পরিণত হয় প্রণয়ে।

রোববার (১৬ জুন) মালদ্বীপের রাজধানী মালে অটোবি কমিউনিটি সেন্টারে সাইয়ের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ৪ হাজার রুপি দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। ১৯ জুন তারা দু’জনে মালদ্বীপ থেকে ঢাকায় পৌঁছেন। জহির হোসেন তার মা-বাবাকে খুশি করার জন্য দীর্ঘ ১০ বছর পর ২০ জুন বিদেশি নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টরযোগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাদৈর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। জহির পার্শ্ববর্তী সাতবাড়িয়া গ্রামের মাহবুব আলমের তৃতীয় ছেলে।

এদিকে বিদেশি নববধূ ও ব্যবসায়ী জহির হোসেন হেলিকপ্টারে আসছেন- এমন খবরে আশপাশের উৎসুক জনতা কাদৈর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভিড় করেন। হেলিকপ্টার থেকে নামার পর জহির হোসেন নববধূ সাইকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে নিজ বাড়িতে উপস্থিত হলে আশপাশের নারীরা বিদেশি নববধূকে এক নজর দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।

নববধূর আগমন উপলক্ষে ২১ জুন উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে সামিয়ানা টাঙিয়ে বিশাল প্যান্ডেল করে বৌ-ভাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও আগত অতিথি নারী-পুরুষরা নববধূকে এক পলক দেখতে ভিড় জমান। ব্যবসায়ী জহির হোসেনও প্যান্ডেলে খাওয়ার সময় আগত অতিথিদের নববধূ সাইকে পরিচয় করিয়ে দেন।

ব্যবসায়ী জহির হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মালদ্বীপে এসি-ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা পরিচালনা করছি। সেখানে গত দুই বছর আগে পরিচয় হয় মালদ্বীপের নাগরিক সাইয়ের সঙ্গে। একপর্যায়ে দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়েতে আমার বাবা-মায়ের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনরাও খুশি।

নববধূ সাই বলেন, বাংলাদেশ সুন্দর একটি দেশ। আমার স্বামী জহির খুবই ভালো এবং তার বাবা-মাও অনেক ভালো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাথায় গুলি ঠেকিয়ে প্রকাশ্যে বিপুল টাকা ছিনতাই

কমেছে স্বর্ণের দাম, কত টাকা ভরি আজ

স্ত্রী অল্পতেই রাগছেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ 

টাঙ্গুয়ার হাওরে ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড

৪ স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

রোজা কবে শুরু হতে পারে, জানাল আমিরাত

‘মহান এই নায়ককে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত’

ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাস

পুকুরে দেখা মিলল কুমিরের

শিক্ষকের ভুলে পরীক্ষা দেওয়া হলো না দুই শিক্ষার্থীর

১০

সন্ধ্যায় জানা যাবে পবিত্র আশুরার ছুটি কবে

১১

যুক্তরাজ্যের এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান ভারতে

১২

বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি দিচ্ছে আকিজ গ্রুপ

১৩

সন্তান কান্না করায় গলা কাটলেন পাষণ্ড বাবা

১৪

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সর্বশেষ ঘটনাবলি

১৫

ফেসবুকে প্রেমিকাকে ভালোবাসি লিখে ছাদ থেকে শিক্ষার্থীর লাফ

১৬

এইচএসসি পরীক্ষা আজ, অংশ নিচ্ছেন ১২ লাখ শিক্ষার্থী

১৭

২৬ জুন : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৮

গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহতা আরও বাড়ছে

১৯

বৃহস্পতিবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

২০
X