আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিযুক্ত আইনজীবী আমিনুল গণি টিটুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত নেন।
এর আগে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে আদালত অবমাননার মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আইনজীবী আমিনুল গণি টিটুকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। এর পর থেকেই টিটুকে নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। সে পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
যদিও এ ধরনের মামলায় কোনো ব্যক্তির পক্ষে সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার বিধান নেই, তবে ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২৪ জুনের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) ( বাংলা ও ইংরেজি) দুটি পত্রিকায় এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিফ প্রসিকিউটরের দাখিল করা ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) আমলে নিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি সত্ত্বেও অভিযুক্ত দুজন পলাতক রয়েছেন বা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আত্মগোপন করেছেন। তাই তাদের ২৪ জুন এই ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলছে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও, হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কোনো ব্যাখ্যা দেননি শেখ হাসিনা। এখন আইন অনুযায়ী এই দুজনের সাজা দিতে পারবে ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১ বছরের সাজা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে।
উল্লেখ্য, ২২৭ মামলায় ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি, গাইবান্ধার এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।
মন্তব্য করুন