কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১৮ বছর পর ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তা চাকরিতে পুনর্বহাল

সুপ্রিম কোর্ট। ছবি : সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্ট। ছবি : সংগৃহীত

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ে আবেদনকারী এসব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ২০০৭ সালে বরখাস্তের পর থেকে প্রাপ্য বকেয়া বেতন-ভাতা জ্যেষ্ঠতাসহ ফেরত দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এসব কর্মকর্তার বরখাস্ত থাকাকালীন সময়কে বিশেষ ছুটি হিসেবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির দেওয়া এই রায়ের ১৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছেন।

এর আগে ২০২২ সালে আবেদনকারীদের আপিল খারিজ করে দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা পৃথক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের ওই রায় দেন। আজ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ের এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া এই ৮৫ কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।

এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন। এই আপিল মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন।

এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের চাকরিতে ফেরত আটকে যায়। পরে ২০২৩ সালে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে তারা আবেদন করেন। সেই আবেদনের ওপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনকারীদের আবেদন মঞ্জুর করে এবং ২০২২ সালে দেওয়া রায় বাতিল করে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাইটিভির চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ইসলামবিরোধী’

পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা, মানতে হবে ৩ শর্ত

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নাম বদলে যাচ্ছে

বাম ছাত্রজোটের আংশিক প্যানেল ঘোষণা, ভিপি ইমি-জিএস মেঘমল্লার

ডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি : ছাত্রদল

শুটিংয়ে খাবার খেয়ে অসুস্থ ১০০ সদস্য, হাসপাতালে ভর্তি

ট্রাম্পের আক্রমণের ভয়ে এবার দলবেঁধে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন জেলেনস্কি!

গাজা দখলের ইসরায়েলি পরিকল্পনায় জামায়াতে ইসলামীর নিন্দা

শেখ মুজিবকে জাতির পিতা দাবি করে ফেসবুক পোস্ট, ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

১০

মোদিকে ফোন করলেন পুতিন

১১

‘হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে’

১২

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কমিটি গঠন

১৩

রণবীরের সঙ্গে মিল পান ভক্তরা : জয় চৌধুরী

১৪

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় নিজস্ব টয়লেট নিয়ে যান পুতিন

১৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ৮২.৫ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছেন

১৬

জ্যামে পড়লেই উড়াল দেবে এ গাড়ি

১৭

মহানগর এক্সপ্রেসের দুটি বগির মাঝখান থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন

১৮

স্লিম ফিগারের বাইরে সৌন্দর্যও আছে : দুরেফিশান

১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু

২০
X