

চাঁদপুর জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকার অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান। অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে গত বুধবার তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রোববার (৩০ নভেম্বর) তিনি ১২তম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহারের কাছে যোগদানপত্র দাখিল করেন। যোগদানের দিনই তিনি আদালতের বিভিন্ন এজলাস, খাসকামরা ও প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি লাঘব ও বিচারিক সেবা সহজ করতে বিভিন্ন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন স্বপন।
মুজাহিদুর রহমান ২০১০ সালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলায় যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক হিসেবে ৫ বছর কাজ করেছেন।
অর্থঋণ আদালতের বিচারক থাকাকালে মুজাহিদুর রহমানের অনেক আদেশ দেশব্যাপী আলোড়ন তৈরি হয়। বিশেষ করে প্রচলিত প্রথার বাইরে গিয়ে বড়-বড় ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, বন্ধকি সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেন। চট্রগ্রাম অর্থঋণ আদালতে থাকা অবস্থায় তার দেওয়া দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার একটি আদেশের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন ঋণখেলাপি এএফসি হেলথের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুয়েল খান।
হাইকোর্ট বিভাগের ৩ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ ১২ দফা নির্দেশনাসহ ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রেখে গত জানুয়ারিতে রায় দেন। এখন সংশোধিত অর্থঋণ আদালত আইনে এসব নিষেধাজ্ঞার বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন