অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে বিদেশের টাকা পাচারের অভিযেগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সোমবার (৯ অক্টোবর) কুমিল্লা ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মাহবুবুল আলম (৩০), লোকমান হোসেন ওরুফে রায়হান (২৫), মো. হাসিবুর রহমান (২৬) এবং মো. সুমন আলী (২৬)।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন, ২৭টি সিম, ৫টি বিভিন্ন এমএফএস এজেন্টের সিম, নগদ ৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার ডিজিটাল (ই-মানি) মানি উদ্ধার করা হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, অনলাইন জুয়া 1xBet এর মাধ্যমে এই চক্রটি প্রতি মাসে গড়ে তিন কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করে আসছে।
আজাদ রহমান জানান, 1xBet-সহ বাংলাদেশে প্রচলিত যতগুলো বেটিং সাইট রয়েছে, তার বেশিরভাগই মূলত রাশিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। এরপর ম্যানেজার বাংলাদেশে বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের জুয়ার এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়। এসব অ্যাপ পরিচালনা করতে পারে এমন দক্ষ লোক রাখেন জুয়ার এজেন্টরা।
সিআইডি জানায়, হাসিবুর এবং সুমন আলীর গ্রামের বাড়ি মেহেরপুর জেলায়। 1xBet এর অন্যতম একজন বাংলাদেশি এজেন্ট হচ্ছে মেহেরপুরের সাদ্দাম নামে এক ব্যক্তি। সাদ্দামের জুয়ার এজেন্ট হিসেবে তাদের দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় হাসিবুর ও সুমনকে বাসা ভাড়া করে দেয় সাদ্দাম। মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এমএফএস এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে এই এজেন্টরা। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর পরিচয়ে ঢাকায় বসে এ কাজ করছিল চক্রটি।
মাহবুবুল আলম তার চাচা আনোয়ার এবং প্রতিবেশীদের নামে এমএফএস এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে অনলাইন জুয়া 1xBet এর ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এই কাজে মাহবুবুল আলমকে এমএফএস এজেন্ট সিম সরবরাহ এবং লেনদেনে সহায়তা করেছে গ্রেপ্তার অপর আসামি লোকমান হোসেন ওরফে রায়হান। সে একটি এমএফএস হাউজের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও)।
মন্তব্য করুন