ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক এবং ডিইউএমসিজেএএ’র সদস্য অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন-এর বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ঢাবির এক শিক্ষকের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিকে (জিডি) ‘বিভ্রান্তিমূলক’ আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডিইউএমসিজেএএ)।
বুধবার (৩১ জুলাই) ডিইউএমসিজেএএ’র সাধারণ সম্পাদক মীর মাসরুরুজ্জামান রনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি করে অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীনকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এ ছাড়া, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘাতমুখর সময়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সদস্য ও বিভাগের শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায়ও নিন্দা ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিও জানিয়েছে ডিইউএমসিজেএএ। পাশাপাশি, এ সময় দেশজুড়ে হতাহতের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচারের দাবি জানায় সংগঠনটি।
প্রসঙ্গত, চলমান আন্দোলন ঘিরে ‘প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার’ অভিযোগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় গত ২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) জিডি করেন ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোনম সাহা। জিডিতে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা ও নাট্যকর্মী ফেরদেীস আরা রুমীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
জিডিতে সোনম সাহা বলেন, অসংখ্য মানুষ যারা গুজবে আতঙ্কিত ও বিভ্রান্ত হয়েছিলেন, তারা ওই পোস্ট পড়ে আশ্বস্ত হয়। এর ফলে একটি স্বার্থান্বেষী অপরাজনৈতিক মহল আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক গীতি আরা নাসরীন আমাকে রেডিও পাকিস্তান, শান্তিবাহিনী এসব অভিধা দেন এবং পরোক্ষভাবে আমাকে মিথ্যাবাদী বলেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফাও আমার বয়ানকে অনলাইনে অসত্য বলে বয়ান করেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রভাবে সরকারবিরোধী অনেক মানুষ আমাকে ভার্চুয়ালি, ভার্বালি অ্যাবিউজ করে। আমাকে কুরুচিপূর্ণ ও বিরূপ মন্তব্য করে। গীতি আরা নাসরীনের ফেসবুক বন্ধু নাট্যকর্মী ফেরদৌস আরা রুমী আমাকে এজেন্সির লোক বলে বিপজ্জনক ইঙ্গিত দেয়। আমি মনে করি, আমাকে হুমকি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টিতে এদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বা দায় আছে।
মন্তব্য করুন