চুয়েট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদক পাওয়ায় চুয়েটের ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৫ জনকে শোকজ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক। ছবি : সংগৃহীত

আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কাছে মাদক পাওয়ায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আট শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি তাদের আবাসিক হল থেকেও চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ১৩টি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮৬তম সভার (জরুরি) সিদ্ধান্তক্রমে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ মার্চ চুয়েটের শেখ রাসেল ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক দল ও হলের সহকারী প্রভোস্টগণ ২টি কক্ষে ১৩ জন শিক্ষার্থী ও ১ জন ডাইনিং বয়কে সন্দেহভাজন অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে রুম দুটি তল্লাশি করে গাঁজা, সিগারেট ও গাঁজা সেবনের উপকরণ পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের শাস্তি প্রদান করে।

জানা যায়, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের তিনজন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের, তিনজন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এবং দুজন পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি পুরকৌশল বিভাগের দুজন, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের একজন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের একজন এবং জৈব চিকিৎসা কৌশল বিভাগের এক শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ নীতিমালার বিধি অনুযায়ী আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, তা ওই শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে। মাদক নির্মূলে আমরা শূন্য নীতি অবলম্বন করছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত রাখতে আমাদের পরিদর্শক দল ও প্রভোস্টরা আবাসিক হলে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ওপর আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদেরকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান রহমান এ ঘটনার ব্যাপারে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে চুয়েট প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা চাই ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকুক। যেন চুয়েট থেকে চিরতরে মাদক নির্মূল করা যায়। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে পূর্বে যারা মাদক কেলেঙ্কারির পরও বহাল তবিয়তে আছে, তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা হোক। কোনো অপরাধী যেন পার না পায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সন্তান-স্ত্রীসহ সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

প্রতিদিন কতটা হাঁটা স্বাস্থ্যসম্মত, ৭০০০ নাকি ১০০০০ পা?

জুলাই সনদের কয়েকটি দফা নিয়ে বিএনপির আপত্তি আছে : সালাহউদ্দিন

রাতে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

অল্পের জন্য রক্ষা পেল ট্রেনের হাজারো যাত্রী

এআই ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার, দাবি বিএফআইইউর প্রধানের

মেহেরপুর সীমান্তে ৩৯ নারী-পুরুষকে হস্তান্তর বিএসএফের

সেই রইস উদ্দিনের বাড়িতে অপু বিশ্বাস

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের পদত্যাগ

পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে কিম জং উনের নতুন হুমকি

১০

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

১১

এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের খোঁজে দুদক

১২

১৮০ টাকার জন্য পরীক্ষা দিতে দিলেন না প্রধান শিক্ষক

১৩

৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, যেভাবে জানা যাবে

১৪

ভুলেও প্রেসার কুকারে রান্না করবেন না যে ৫ খাবার

১৫

আলো-অন্ধকারের দার্শনিক জহির রায়হানের জন্মবার্ষিকীতে গভীর অভিবাদন

১৬

‘ত্রাণ নয়, রাস্তা চাই’

১৭

‘ডাকসুকে ব্যবহার করে বড় নেতা হয়েছেন, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন হয়নি’

১৮

প্রতিজ্ঞা ভেঙে হোয়াইট হাউসে স্যুট পরে হাজির জেলেনস্কি

১৯

এনসিপি থেকে বহিষ্কার হয়ে মাহিনের ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য

২০
X