‘ত্রাণ চাই না, রাস্তা চাই’; ‘আমরা স্কুলে যেতে চাই, বাড়ি থেকে বের হতে চাই’- এমন স্লোগানে দিনাজপুরের বিরামপুরে সড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জোতবানি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জগদীশপুর, বেড়াখাই, আমগছি, খয়েরবাড়ি, জোতমাধব ও মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দারা অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা ও গর্তে চলাচল অচল হয়ে যায়। ট্রলি, ট্রাক্টর ও অটোসহ প্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচলের ফলে ভোগান্তি আরও বাড়ছে। দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি দাখিল মাদ্রাসা, একটি বালিকা হাফেজিয়া ও দুটি বালক হাফেজিয়া মাদ্রাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এ ছাড়া, নিকটবর্তী ঐতিহ্যবাহী গিলাগাছ এলাকায় প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী এলেও সড়কের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় জনগণকে।
খয়েরবাড়ি গ্রামের রায়হান কবির অভিযোগ করে বলেন, জগদীশপুর থেকে জোতমাধব পর্যন্ত ৪.৭৭ কিমি রাস্তা পাকা করার প্রকল্পে ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে জোতবানী থেকে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। আমরা দাবি করছি, পরবর্তী কাজ যেন জগদীশপুর থেকে শুরু হয়।
মানববন্ধন শেষে খয়েরবাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম আহসান হাবীব, আলমগীর কিবরিয়া, রায়হান কবির, সাহাবুল ইসলাম, রেজওয়ান কবির, আবু হায়াত, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ও জাকির হোসেন মণ্ডলসহ প্রতিনিধিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেন।
ইউএনও নুজহাত তাসনিম আওন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি আমরা নজরে এনেছি। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেখেছি। ইঞ্জিনিয়ার অফিসে স্মারকলিপি জমা দিলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
বিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী আতাউর রহমান কালবেলাকে বলেন, দাবিটি যৌক্তিক। বর্ষায় কাঁচা রাস্তায় মোটরসাইকেল বা পায়ে হেঁটেও চলা কঠিন হয়ে পড়ে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।
মন্তব্য করুন