সময় বাঁচাতে এখন অনেকেই প্রেসার কুকার ব্যবহার করেন। বিশেষ করে চাকরিজীবী স্বামী-স্ত্রীর সংসারে রান্নার ঝক্কি সামলাতে কুকার যেন ভরসার নাম। এতে খাবার দ্রুত সেদ্ধ হয়, রান্নাও সহজ হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, কিছু খাবার কখনোই প্রেসার কুকারে রান্না করা উচিত নয়। এতে শুধু স্বাদ ও গঠন নষ্ট হয় না, অনেক সময় পুষ্টিগুণও হারিয়ে যায়। কোথাও কোথাও অস্বাস্থ্যকর যৌগও তৈরি হতে পারে।
কোন খাবারগুলো কুকারে রান্না এড়িয়ে চলা উচিত?
কোমল সবজি
পালং শাক, লেটুস, জুচিনি বা ব্রকোলির মতো সবজি চুলায় কয়েক মিনিটেই সেদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রেসার কুকারের অতিরিক্ত তাপ ও বাষ্পে এগুলোর রং ও পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
পাস্তা বা নুডলস
পাস্তা, নুডলস কিংবা ম্যাকারনি দ্রুত পানি টেনে নেয়। কুকারে পানির সঠিক পরিমাণ মাপা কঠিন হয়। ফলে এগুলো দলাবেঁধে লেগে যেতে পারে কিংবা একেবারে নরম হয়ে যেতে পারে।
সামুদ্রিক মাছ
স্যালমন, পমফ্রেট বা চিংড়ির মতো সামুদ্রিক মাছ অল্প আঁচেই কয়েক মিনিটে রান্না হয়ে যায়। কিন্তু কুকারের উচ্চচাপ এগুলো অতিরিক্ত সেদ্ধ করে শক্ত ও শুষ্ক করে ফেলে। তাই মাছের আসল স্বাদ পেতে এগুলো স্টিম, গ্রিল বা হালকা ভাজায় রান্না করাই ভালো।
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, ক্রিম বা চিজ দিয়ে তৈরি ক্ষীর, কাস্টার্ড বা পনিরের তরকারি কুকারে দেওয়া ঠিক নয়। উচ্চ তাপে এগুলো ফেটে যায়, দলা পাকায় কিংবা আলাদা হয়ে যায়। এ ধরনের খাবার কম আঁচে রান্না করলে ভালো টেক্সচার ও স্বাদ পাওয়া যায়।
বেক করা খাবার বা কেক
কুকার কখনোই ওভেনের মতো শুষ্ক তাপ তৈরি করতে পারে না। ফলে কেক ঘন হয় এবং বিস্কুট বা রুটি তার খাস্তা ভাব হারায়। অনেকে কুকারে কেক বানালেও তা কখনোই ওভেনে বেক করা কেকের মতো হালকা ও নরম হয় না।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা
মন্তব্য করুন