রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৫, ০৭:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

রাবিতে স্ক্যাবিসের প্রকোপ, আক্রান্ত ২০০ শিক্ষার্থী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্র। ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চিকিৎসা কেন্দ্র। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হঠাৎ ছোঁয়াচে চর্মরোগ স্ক্যাবিসের প্রকোপ বেড়েছে। একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগটি। গত এক সপ্তাহে অন্তত ২০০ জন শিক্ষার্থী এ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, স্ক্যাবিস এক প্রকার পরজীবী জনিত রোগ। এর প্রধান লক্ষণ হলো শরীরে চুলকানি ও ফুসকুড়ি ওঠা। স্পর্শের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। এ রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, গত দুইদিন ধরে হাতের আঙুলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকাচ্ছিল। যেই অংশে চুলকানি হয় কিছুক্ষণ পর সেখানে লাল হয়ে ফোসকার মতো হয়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে আমি মেডিকেল সেন্টারে যাই। ডাক্তার লক্ষণগুলো দেখে বললেন স্ক্যাবিস। পরে আমাকে কয়েকটি ওষুধ দেন ডাক্তার। এখন আগের চেয়ে ভালো বোধ করছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাশিহুল আলম বলেন, এক ধরনের পরজীবীর মাধ্যমে এই স্ক্যাবিস রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরজীবী শুধু মানুষের শরীরেই বেঁচে থাকতে পারে। মানবদেহের বাইরে সর্বোচ্চ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই এটি মারা যায়। স্ক্যাবিসের প্রথম দিকে হাত-পায়ের আঙুলের ফাঁকে, কব্জির সামনে, বগলে, নাভিতে ও শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা দেয়। আস্তে আস্তে এগুলো পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এই ডাক্তার বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের গত তিনদিনে যথাক্রমে ২৯, ৩৬ ও ৪৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এটি থেকে প্রতিকার পেতে প্রথমত সবাইকে সচেতন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারও ব্যক্তিগত জিনিস জামা-কাপড়, তোয়ালে, বিছানার চাদর-বালিশ ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আশার কথা হলো এই রোগে সারাদেশে কেউ মারা যাচ্ছে না। চিকিৎসা নেওয়ার সাত দিনের মধ্যেই এটি ঠিক হয়ে যাচ্ছে। আমরা মেডিকেল সেন্টার থেকে তিন ধরনের ওষুধ সরবরাহ করছি স্ক্যাবিস নিরাময়ে। এছাড়াও রোগ নিরাময়ের পরেও দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চুলকানি থেকে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় পর এটি এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। তবে এই রোগের চিকিৎসা না করালে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। তাই লক্ষণ দেখা দিলেই এর চিকিৎসা নিতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভোলা সমিতি ঢাকার নতুন কমিটি গঠন 

সাংবাদিককে মারধরের মামলায় ছাত্রলীগ নেতা বিদ্যুৎ গ্রেপ্তার

জাওয়াদের সেঞ্চুরিতে বড় জয় যুবাদের

বাংলাদেশ বিমানে নয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

একমাস পর বাড়ি ফিরেই খুন হলেন বিএনপি কর্মী

মাদককাণ্ডে নিষিদ্ধ প্রোটিয়া পেসার

আগে দেশের সংস্কার পরে নির্বাচন : চরমোনাই পীর

চাকরি ছাড়লেন সরকারি স্কুলের আরও ১২ সহকারী শিক্ষক

সোনার দামে আবারও বড় পতন

ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৩৫ রোহিঙ্গা চট্টগ্রামে আটক

১০

ডোরার একক

১১

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সবাই উচ্ছ্বসিত : মির্জা ফখরুল

১২

চলন্ত প্রাইভেটকারে গুলি ছোড়ে হাসান দাবি পুলিশের

১৩

এক মণ ধানেও মিলছে না শ্রমিক

১৪

গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিলেন বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতা

১৫

অবশেষে রাজপরিবারে ফিরতে চাইলেন হ্যারি

১৬

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : কায়কোবাদ

১৭

কাজে আসছে না ৩৮ কোটি টাকার ভবন

১৮

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত আলবানিজ

১৯

১৪ জুন যেভাবে জন্মদিন উদযাপন করবেন ট্রাম্প

২০
X