রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (০৯ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স ক্লাবে ছাত্রদলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। আমন্ত্রিত অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর এবং ছাত্র পরামর্শকের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেকৃবি শাখা ছাত্রদলের কমিটির একাংশকে না জানিয়েই আয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে অনুষ্ঠান চলাকালীন এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ওই দু’গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ৫ জন বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তবে পরবর্তী নেতৃত্ব নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত কমিটির সদস্যগণ। গত ৭ মে প্রকাশিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা বলা থাকলেও কমিটির একাংশের দাবি না জানিয়েই এই আয়োজন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরসহ ছাত্রদলের এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. তারিফুল ইসলাম তারিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন গ্রুপের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে পরে সামাদ-তারিফ-ফরহাদ গ্রুপ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এরপর রাত ১০টার দিকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপ একটি মিছিল বের করে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে শেষ হয়। এ সময় ক্যাম্পাসে বিকট শব্দে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
অন্যদিকে সামাদ-ফরহাদ-তারিফ গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অবস্থান নেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাদের হাতে লাঠি ও রড সদৃশ বস্তু দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. আরফান আলী এবং সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে একটি গ্রুপ অন্য গ্রুপকে বাধা দিয়েছে। পরে দু’গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের সময় আমি ছিলাম না। এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করছি। একটি গ্রুপ বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিচ্ছে- এমন খবর শোনার পর ক্যাম্পাসের প্রধান গেটগুলো বন্ধ করতে বলেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।
মন্তব্য করুন