জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৫ দফা দাবিতে জবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

জবির কাঁঠালতলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছবি : কালবেলা
জবির কাঁঠালতলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছবি : কালবেলা

সম্পূরক বৃত্তি ও অস্থায়ী আবাসন নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করেন শাখা সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল অভিযোগ করেন, গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের জন্য উপাচার্যের কাছে ২১ দফা দাবি জমা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত একটি দাবিও বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো যদি দ্রুত পূরণ না হয়, তবে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। স্বৈরাচারের সহযোগী ছাত্রলীগের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিচার না হলে জবির শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ ফিরবে না।

সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ফ্যাসিস্টের সহযোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগের যারা ফৌজদারি অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় জকসুর সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হবে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পূর্ণ করে জকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে।

সংগঠনের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো

১. অবিলম্বে আবাসিক ভাতা (সম্পূরক বৃত্তি) প্রদান ও ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর করা; পাশাপাশি মুক্ত মঞ্চে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা।

২. বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত একর নিজস্ব জমিতে এক মাসের মধ্যে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণকাজ শুরু করে ছয় মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করা।

৩. পূর্বের স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে তালিকাভুক্ত ছাত্রলীগের শিক্ষার্থী এবং নতুন তালিকায় ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে উল্লিখিত ৬৮ শিক্ষক ও ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।

৪. বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

৫. বিচারের পর স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পশ্চিমা চাপকে ‘সরাসরি লড়াই’ বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

শিশুরা মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো মানুষের মাথার খুলি

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা অপু গ্রেপ্তার

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচলে নতুন সিদ্ধান্ত

ভ্রমণকালে ব্যাগে একটি টেনিস বল রাখলে কী হয়, জানলে অবাক হবেন

খালেদা জিয়া সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন : ডা. জাহিদ

২৮ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল হাদির নামে ‘চিরকুট’

জামায়াতে ইসলামীকে ডাকসু নেতার অনুরোধ

১০

শাহবাগে উপস্থিত হয়ে যে আশ্বাস দিলেন ডিএমপি কমিশনার

১১

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে যা বললেন আখতার

১২

অন্তর্বর্তী সরকার থাকাকালীনই হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে : রিজওয়ানা হাসান

১৩

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন

১৪

ঐক্য পরিষদের গোলটেবিল সংলাপ / সংখ্যালঘুদের অধিকার নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার হিসেবে ঘোষণার দাবি

১৫

বগুড়ার পাশাপাশি ঢাকাতেও প্রার্থী হবেন তারেক রহমান

১৬

সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিল ইনকিলাব মঞ্চ

১৭

তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার শহিদুলের নিঃশর্ত মুক্তি চাইল বিএনপি

১৮

তাইওয়ানে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

১৯

স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, রোববার থেকে কার্যকর

২০
X