

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, দীর্ঘ দমন–পীড়ন, মামলা ও নির্বাসনের পর তারেক রহমানের ফিরে আসা গণতন্ত্রে উত্তরণের নতুন অধ্যায় সূচিত করবে।
পোস্টে নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ২০০৭ সালের ‘ওয়ান-ইলেভেন’ পরবর্তী অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে রাজনীতি থেকে বাদ দেওয়া। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ২০০৭ সালের ৭ মার্চ বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে তাকে দীর্ঘ সময় কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও লেখেন, চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে লন্ডনে গেলেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা ও রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত ছিল। তবুও তিনি বিদেশে থেকেও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছেন।
নাছির উদ্দীন নাছির তার পোস্টে বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী জনগণের কাছে এক আশার বাতিঘরের নাম দেশনায়ক তারেক রহমান।” তাঁর মতে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হবে।
পোস্টে আরও বলা হয়, আগামী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে এবং এ উপলক্ষে সারাদেশের মানুষের দৃষ্টি সেদিন ঢাকায় নিবদ্ধ থাকবে। ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, এই প্রত্যাবর্তন দেশের তরুণ, যুব ও প্রবীণদের মধ্যে নতুন আশা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন