জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। হল সংসদের ফল ঘোষণার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৫টা ৪০ মিনিটে সিনেট ভবনে এ ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। এ সময় আলবেরুনি হল সংসদের ফল ঘোষণা করা হয়।
২১ নম্বর (ছাত্র) হলের ভিপি ইবনে শিহাব, জিএস ওলিউল্লাহ মাহাদী এবং এজিএস হয়েছেন তুষার আহমেদ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ভিপি রাকিবুল ইসলাম, জিএস আলী আহমেদ ও এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন সামিন ইয়াসির।
আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের ভিপি জিএমএম রায়হান কবীর, জিএস আবরার শাহরিয়ার এবং (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) এজিএস হয়েছেন রিপন মন্ডল।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ভিপি অমিত কুমার বণিক, জিএস মাহমুদুল হাসান এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এজিএস হয়েছেন মির্জা আদনান ইসলাম।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের ভিপি সিফাত উল্লাহ, জিএস মাহমুদুল হাসান এবং এজিএস হয়েছেন তারিক আহমেদ।
মীর মশাররফ হোসেন হলের ভিপি খালেদ জুবায়ের, জিএস শাহরিয়ার নাজিম এবং এজিএস হয়েছেন আরাফাত হোসেন।
মওলানা ভাসানী হলের ভিপি আবদুল হাই স্বপন, জিএস হৃদয় পোদ্দার এবং এজিএস রাকিব হাসান।
শহীদ সালাম-বরকত হলের ভিপি মারুফ হোসেন, জিএস মাসুদ রানা এবং এজিএস হয়েছেন আবরার আজিম ভুঁইয়া।
আলবেরুনী হলের ভিপি রিফাত আহমেদ শাকিল, জিএস মুনতাসির বিল্লাহ খান এবং এজিএস হয়েছেন সাদমান হাসান খান।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) ভিপি বুবলী আহমেদ ও জিএস হয়েছেন সুমাইয়া খানম। এছাড়া হলটিতে এজিএস পদে কোনো প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
বেগম খালেদা জিয়া হলের ভিপি ফারহানা রহমান, জিএস ফাতেমা তুজ–জোহরা এবং এজিএস হয়েছেন রায়হানা সরকার।
ফজিলতুন্নেসা হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ঐশী সরকার। এছাড়া জিএস ফারজানা তাবাসসুম ও এজিএস হয়েছেন প্রমা রাহা।
১০ নম্বর (ছাত্র) হলের ভিপি আসিফ মিয়া, জিএস মেহেদী হাসান এবং এজিএস হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।
১৫ নম্বর (ছাত্রী) হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভিপি হয়েছেন শারমীন খাতুন, জিএস মেহনাজ মোহনা এবং এজিএস হয়েছেন শাহানা আক্তার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ওইদিন রাত সোয়া ১০টা থেকে ভোট গণনা শুরু হলেও তা এখনো চলমান। এবার মোট ভোট পড়েছে প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবার প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে আটজন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য দুটি হলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন