

ভোটার তালিকায় ত্রুটি থাকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচন আবার স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ব্রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. শাহজামান স্বাক্ষরিত পুনঃতপশিল প্রকাশ করা হয়।
এ নিয়ে মোট চারবার ব্রাকসুর তপশিল ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ।
ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভোটার তালিকায় অসংগতি পাওয়ায় নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পূর্বঘোষিত তপশিল বাতিল করে নতুন তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে।
পুনঃতপশিল অনুযায়ী, আগামী ১৩ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৪, ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর ভোটার তালিকা সংশোধন ও আপত্তি গ্রহণ করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। ১৮ ডিসেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ ও দাখিল শুরু হবে, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে ২২ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণ, নিষ্পত্তি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর ২৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। আর ব্রাকসুর ভোট হবে ২১ জানুয়ারি।
এর আগের তপশিল অনুযায়ী মঙ্গলবার মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন থাকলেও কমিশন কার্যালয়ে আসেননি নির্বাচন কমিশনাররা। পরে মনোনয়ন জমা দিতে আসা প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনারদের ফোন করলেও তারা রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে জানাতে উপাচার্য কার্যালয়ে গিয়ে তাকেও পাননি তারা। পরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে বিকেল ৪টার দিকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে দুপুরে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘বেরোবি শিক্ষার্থী পরিষদ’। নির্বাচন বানচাল করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। পরে বেলা আড়াইটার দিকে কমিশন কার্যালয়ে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা। কয়েক ঘণ্টার টানা বৈঠকের পর নির্বাচনের তপশিল স্থগিত করে ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর প্রথমবার তপশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন ২৯ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছিল। তবে সংগঠনগুলোর আপত্তি ও দাবির মুখে এক দিন পর ২০ নভেম্বর নতুন তপশিল প্রকাশ করে ভোটগ্রহণের দিন এগিয়ে এনে ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
পরে তপশিল অনুযায়ী মনোনয়ন বিতরণের শেষ দিন গত ১ ডিসেম্বর বিকেলে ভোটার তালিকায় অসংগতি থাকার কারণ দেখিয়ে তপশিল স্থগিত করে ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন। পরে ৩ ডিসেম্বর পুনঃতপশিল ঘোষণা করে ভোটের তারিখ অপরিবর্তিত রাখা হয়। এ তপশিল স্থগিত করে নতুন করে বুধবার আবারও পুনঃতপশিল ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য করুন