পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ না বলে ‘ভাই’ বলায় এক ছাত্রীকে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৩য় বর্ষের ঐ ছাত্রী তার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে সংশোধন করতে রেজিস্টার অফিসের একাডেমিক শাখায় গেলে সেখানে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা হলেন শেখ মাহমুদ কানন। তিনি দাবি করেন, তাকে স্যার না বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকদেরও স্যার বলা যাবে না।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভুক্তভুগী শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা অবস্থান নেন। এ সময় তারা দাবি করেন, তিনি একজন কর্মকর্তা হয়ে শিক্ষককে কোনো যুক্তিতে ভাই সম্বোধন করতে বললেন তার সুস্পষ্ট ব্যাখা এবং তাকে কেন ভাই বলে সম্বোধন করা যাবে না তার যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।
যে শিক্ষার্থীর সামনে স্যারকে ভাই সম্বোধন করতে বলছেন, সেই শিক্ষার্থীসহ বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষকদের কাছে ওই কর্মকর্তাকে ভুল স্বীকার করতে হবে। আবস্থান কর্মসূচি শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পক্ষে বিভাগের সব শিক্ষার্থীদের দেওয়া অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন, গত ৪ ডিসেম্বর তাদের সহপাঠী মোছা. আতিয়া সানজিদা রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করতে রেজিস্টার অফিসের একাডেমিক শাখায় গেলে সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কানন তাকে হেনস্তা করে এবং স্যার বলতে বাধ্য করেন। তিনি (সেকশন অফিসার) বলেন তাকে স্যার না বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকদেরও স্যার বলা যাবে না। এমন হেনস্তার শিকার হওয়ায় আমাদের সহপাঠী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই আমরা এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে তাকে হেনস্তা এবং শিক্ষক অবমাননার প্রতিকার ও সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ওই দিন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টা ওনি হয়তো অন্যভাবে বুঝেছেন। আমি হয়তো তাকে বুঝাইতে ব্যর্থ হয়েছি। আমার ১২ বছর কর্মজীবনে কারো সঙ্গেই আমি কখনো খারাপ ব্যাবহার করিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. নাজমুল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। উপাচার্যের উপস্থিতিতে আগামী শনিবার সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন