জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচল করা মৌমিতা পরিবহনের ১৭টি বাস আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫ মে) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে গিয়ে বাসগুলো আটকাতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
হেনস্তার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর কবিরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ৫১তম ব্যাচের ওই নারী শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও প্রক্টরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকা থেকে টিউশন শেষে মৌমিতা পরিবহনে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। এ সময় ভাড়া হিসাবে ১০০ টাকার একটি নোট দেন তিনি। চালকের সহযোগী ভাংতি নেই বলে জানান। পরে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় গিয়ে বাসটি থেমে যায় এবং যাত্রীদের জানানো হয়, বাস আর সামনে যাবে না। তখন ওই ছাত্রী তার বাকি টাকা ফেরত চাইলে বাসের সহযোগী তার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলেন এবং বাজে ইঙ্গিত দেন। এরইমধ্যে বাসের চালক ওই ছাত্রীকে একা বাসে রেখেই বাস চালাতে শুরু করে। ভয়ে ছাত্রী বাস থেকে ঝাঁপ দেন এবং পায়ে আঘাত পান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুঠোফোনে জানান, এ ঘটনার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে পারছেন না।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে মৌমিতা পরিবহনের ১৭টি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
এক বাসচালক বলেন, সকাল ৯টার পর থেকে শিক্ষার্থীরা বাস আটকাতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা আমাদের চাবি নিয়ে চলে গেছেন। তারা কেউ খারাপ ব্যবহার করেননি।
মৌমিতা পরিবহনের পরিচালকদের একজন মো. বাদশা জানান, তাদের লোকজন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়েছেন। তারা কথা বলে বিষয়টির সমাধান করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক প্রক্টর মো. আলমগীর কবির বলেন, গতকাল মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসের সহযোগী আমাদের ছাত্রীকে হেনস্তা করেছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই বাস শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন