‘কেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক ভিডিও ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে ‘থ্রিঙ্কফ্রন্ট’ নামক একটি প্ল্যাটফর্ম। ভিন্ন ভিন্ন আইডিয়া ও প্রস্তাবনাগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে কাজ করতে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি প্ল্যাটফর্মটির এক বিবৃতিতে বিষয়টি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়, অংশগ্রহণ করার জন্য আপনি কেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান বা কিভাবে আমাদের ক্যাম্পাসকে আরও বেটার করা যায় সে বিষয়ে আপনার আইডিয়া/প্রস্তাবনা ছোট একটি ভিডিও করে পাঠিয়ে দিন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে (০১৬৮৫২৮৮৬৭৬)। ভিডিও পাঠানো যাবে ৮ মে পর্যন্ত।
পুরস্কারের ঘোষণায় বলা হয়, সর্বোৎকৃষ্ট আইডিয়া/প্রস্তাবনার সিরিয়াল অনুযায়ী প্রথম ১০ জনের জন্য রয়েছে পুরস্কার। ১ম পুরস্কার - ৫ হাজার টাকা, ২য় পুরস্কার - ৩ হাজার, ৩য় পুরস্কার - ২ হাজার টাকা ও বাকি ৭ জনের জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট।
প্ল্যাটফর্মটির প্রধান উদ্যোক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্টমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত, চিন্তা ও স্বপ্নকে গুরুত্ব দিয়ে যে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমাদের এই ভিডিও ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ভাবনা, চাহিদা, সমস্যা ও তাদের মতামতগুলো তুলে ধরতে পারবে এবং সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণ ও পরিবর্তনের জন্য করণীয় সম্পর্কে সচেতন হবে। এ ধরনের ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একে অপরের মতামত শুনে সম্মিলিতভাবে সমাধানের পথ খুঁজে পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যাগুলো ভিডিওর মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে, নীতিগত বা অবকাঠামোগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এ ধরনের ভিডিও নির্মাণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের উপস্থাপন কৌশল, বক্তৃতা দক্ষতা এবং মিডিয়া হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বাড়াতে পারে। কেমন ক্যাম্পাস চাই শীর্ষক ভিডিও ক্যাম্পেইন ‘মাই ক্যাম্পাস, মাই থটস’ শুধু একটি মতামত সংগ্রহের মাধ্যম নয়, এটি একটি শিক্ষণীয়, অনুপ্রেরণামূলক ও উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন নিজের ক্যাম্পাস উন্নয়নে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে, তেমনি নিজেদের ভেতরের সম্ভাবনাগুলোকেও বিকশিত করতে পারে।
উল্লেখ্য, ‘থ্রিঙ্কফ্রন্ট’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি সামাজিক উদ্যোগ। যার একমাত্র লক্ষ্য ‘সুন্দর ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করা।
মন্তব্য করুন