মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের পর এবার খুলছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের ক্লাস। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস যথারীতি চলবে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল তীব্র দাবদাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এদিকে তীব্র দাবদাহের মধ্যে আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে জানানো হয়, তাপপ্রবাহের মধ্যে রোববার থেকে খুলবে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ। সেইসঙ্গে দাবদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে।
শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।
দাবদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে জানায় মাউশি। তবে প্রাথমিকে শনিবার বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া তীব্র দাবদাহে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হচ্ছে অনলাইনে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস আজ শনিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশের সব স্থানে দীর্ঘতম সময়ের দাবদাহ শেষ হওয়ার পর আগামী মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, আমাদের গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ বলছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের কিছু অংশে প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত হলেও মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে।
তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট অঞ্চল, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম অঞ্চলে কিছু স্বস্তির বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে সারা দেশে চলমান তাপদাহ হ্রাসের সম্ভাবনা কম।
দেশ গত ১ এপ্রিল থেকে গত ২৭ দিন ধরে তাপপ্রবাহের দীর্ঘতম সময় প্রত্যক্ষ করছে এবং আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে এ অবস্থা পরবর্তী মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।
দৃশ্যত, প্রথমবারের মতো আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে স্বীকার করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করেছে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে দাবদাহের অঞ্চল প্রসারিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন