মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল খান

সোহেল খান ও সীমা কিরণ সাজদেহ। ছবি : সংগৃহীত
সোহেল খান ও সীমা কিরণ সাজদেহ। ছবি : সংগৃহীত

বলিউডের আলোচিত খান পরিবারে একসময় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে হয়েছিল সোহেল খান ও ফ্যাশন ডিজাইনার সীমা কিরণ সাজদেহের বিয়ে। কিন্তু দুই যুগ ধরে চলা সেই দাম্পত্যে হঠাৎ নেমে আসে ভাঙনের ছায়া। ২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয় সোহেল ও সীমার। কিন্তু এতদিন নীরব থাকা সোহেল খান অবশেষে ভাঙলেন নীরবতা। প্রথমবারের মতো তিনি মুখ খুললেন প্রাক্তন স্ত্রী সীমার সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক, বিচ্ছেদের অন্তরালের কারণ নিয়ে।

ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে সোহেল বলেন, ‘আমি সীমার সঙ্গে ২৪ বছর কাটিয়েছি। সীমা চমৎকার একজন মেয়ে। কিন্তু কিছু জায়গায়, কিছু বিষয়ে আমাদের মিল হচ্ছিল না। কিন্তু সেটা আমাদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দেয়নি।’

তিনি তার প্রাক্তন স্ত্রীর প্রশংসা ও সন্তানদের জন্য যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও বলেন, সীমা দারুণ একজন মানুষ, চমৎকার একজন মা, খুবই যত্নশীল মা। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয়ে বনিবনা হয়নি। তার মানে এই নয় যে, আমাদের মধ্যে কোনো তিক্ততা রয়েছে। আমরা ঠিক করেছি, প্রতি বছর একবার আমরা (বাবা-মা হিসেবে) ছেলেদের নিয়ে ছুটিতে যাব এবং আনন্দ করব। আমরা আলাদা ব্যক্তি হলেও বাবা-মা হবো এবং ভালো সময় কাটাব।

স্বামী-স্ত্রীর ইগো সন্তানদের প্রভাবিত করে। এ বিষয় নিয়ে সোহেল খান বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন ঝগড়া হয়, তখন তার প্রভাব বাচ্চাদের ওপর পড়ে। স্বামী-স্ত্রীর ইগো সন্তানদের ওপরে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করতে পারে না। এতে তারা শুধু নিজেদের জীবনই নষ্ট করছে না; বরং আগামী প্রজন্মকেও বিঘ্নিত করছে। ফলে সন্তানরা বড় হয়ে বিপথে চলে যেতে পারে। তাই আমি ও সীমা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা সেটা হতে দেব না।‘

এদিকে ২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে সীমা বলেছিলেন, ‘আমি যদি এ ব্যাপারটি নিয়ে পড়ে থাকতাম, তাহলে ব্ল্যাক হোলের মতো এর আরও গভীরে নিমজ্জিত হয়ে পড়তাম। তাই বিপরীত পথ বেছে নিয়েছি। আমার মতে, এজন্যই সামনে এগোতে পারছি। আমার সন্তান, পরিবারের সদস্য ও ভাই-বোনদের ক্ষেত্রেও তাই। বোন, মেয়ে কিংবা ঘনিষ্ঠ কাউকে একটি বিষয় নিয়ে সব সময় নিমগ্ন হয়ে চাপ নিতে দেখতে মোটেও ভালো লাগার কথা নয়। তাই তাদের জন্য আমার জীবনটা সম্পূর্ণ ইতিবাচকভাবে দেখি।’ তবে সে সময় এই আলাপচারিতায় বিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করেননি সীমা।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সোহেল খান ও সীমা। ২০০০ সালে তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় পুত্র নির্বাণ খান। ২০১১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেয় তাদের দ্বিতীয় পুত্র ইয়োহান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

নিষিদ্ধ হওয়া ভিডিও নির্মাতাদের সুখবর দিল ইউটিউব

১০

জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে জামায়াতের অংশগ্রহণ

১১

‘ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াও আমাদের দিনে দাঁড়াতে পারবে না’ 

১২

রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি

১৩

ঢাবি সাদা দলের বিবৃতি / এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ অপ্রত্যাশিত

১৪

৪৮ জেলার ৪৩৫ স্পটে হত্যাকাণ্ড ঘটায় পুলিশ-যুবলীগ : তাজুল ইসলাম

১৫

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জামায়াত নেতার

১৬

ইয়ামালের জন্য আল হিলালের ৫২৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব!

১৭

অতিরিক্ত সিম স্বেচ্ছায় বাতিল না করলে যা করবে বিটিআরসি

১৮

‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ হামজাদের প্রতিপক্ষ

১৯

জনগণের আমানত রক্ষায় জমিয়ত সর্বদা সচেষ্ট থাকবে : মোহাম্মদ আলী

২০
X