শিবলী আহমেদ
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ০৮:০৩ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যত বদনাম ততই ভাইরাল,পরিচিতিও বাড়ে : রোজিনা

চিত্রনায়িকা রোজিনা। ছবি : সংগৃহীত
চিত্রনায়িকা রোজিনা। ছবি : সংগৃহীত

আমাদের সময় তো ভাইরাল হওয়ার কোনো সিস্টেমই ছিল না। তখন শিল্প-সংস্কৃতিকেই বেশি প্রাধান্য দিতাম। এখন জামানা বদলে গেছে। বর্তমানে যত বদনাম, ততই ভাইরাল। পরিচিতিও বাড়ে। ভ্যেলুও বৃদ্ধি পায়। চোখের সামনেই তো এসব দেখছি। কালবেলার সঙ্গে আলাপকালে তারকাদের হালচালের বিষয়ে এসব কথা বলছিলেন এক সময়ের পর্দা মাতানো চিত্রনায়িকা রোজিনা।

বেলা তখন ১১টা। প্রচুর রোদ। মঙ্গলবার, ঢাকার বনানীর রাস্তায় জ্যাম। গাড়িতে বসে আছেন রোজিনা। যাচ্ছেন টেলিভিশন প্রোগ্রামে। ১৬ জুন মুক্তি পেতে যাওয়া তার সিনেমা ‘ফিরে দেখা’ নিয়ে প্রচারে ব্যস্ত তিনি। সঙ্গে থাকবেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এ ছবিতে দীর্ঘদিন পর জুটি বেঁধেছেন তারা। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই সিনেমার চিত্রনাট্য ও পরিচালনাও করেছেন রোজিনা। এতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অভিনয় করেছেন অভিনেতা নিরব ও অভিনেত্রী স্পর্শিয়া। অবশ্য এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে একদফা কথা সেরেছেন রোজিনা। কিন্তু কালবেলা জানতে চায় সিনেমাটির পেছনের কথা। শুটিংয়ের কিছু অভিজ্ঞতা ছাড়াও নিরব ও স্পর্শিয়া বিষয়ে দুকথা বলেছেন রোজিনা।

শুটিংয়ের কিছু মজার অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনের ওপাশ থেকে শোনা গেল রোজিনার সেই পরিচিত হাসির শব্দ। যেটির সঙ্গে সিনেমাপ্রেমীরা বেশ পরিচিত। চিত্রনায়িকা বললেন, শুটিংয়ে তো মজার ঘটনা ঘটার সুযোগই নেই। আছে শুধু টেনশন। কারণ ডিরেকশনও আমার, অভিনয় করেছি আমিই। সকালবেলা উঠেই শুরু হতো টেনশন। লোকেশনে ইউনিট পৌঁছল কিনা, গাড়ি এলো কিনা। অবশ্য এসব দেখভালের লোক ছিল। প্রডাকশন তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তারপরও ডিরেক্টরের মনে টেনশন কাজ করে, সব সময়। আউটডোর শুটিংয়ের সময় বৃষ্টি নিয়ে চিন্তা হতো। বৃষ্টিতে শুটিং ভেস্তে গেলে পরিশ্রম ও টাকা দুটিই শেষ! কথা শেষ করে আবারও হাসলেন রোজিনা।

কিছুক্ষণ পর কী যেন কী ভেবে বলে উঠলেন, বৃষ্টির কবলে পড়েছি। সকালে খুব সুন্দর আবহাওয়া দেখে বেরিয়েছি, কিন্তু শুটিংয়ের সময় আকাশ ছেয়ে গেল কালো মেঘে। রাস্তায় শুরু হয়ে গেল ছোটাছুটি। যে যার মতো মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে নিল। এপ্রিলে শুটিং হয়েছিল। বৃষ্টি ভোগাচ্ছিল আরকি। আবার প্রচণ্ড গরমেও কষ্ট করতে হয়েছে।

ফিরে দেখা সিনেমার শুটিং হয়েছে গোয়ালন্দে। নদীর পাড়ে ও চড়ে। গাঁয়ের মানুষ খুব সাদরেই স্বাগত জানিয়েছে পুরো ইউনিটকে। বিশেষ করে চাষিরা। রোজিনা বললেন, যেখানে শুটিং করেছি, সেই অঞ্চলে টমেটোর চাষ হচ্ছিল তখন। আমাদের টেকনিশিয়ানদের ডেকে নিত ক্ষেতের চাষিরা। গাছপাকা টমেটো হাতে তুলে দিয়ে ভর্তা করে খেতে বলত। আশপাশের বাড়িঘর থেকে গামলা ভর্তি কাঁচা ও পাকা টমেটো মরিচ-পেঁয়াজ দিয়ে মেখে ভর্তা করে আমাদের দিয়ে যেতেন চাষি ভাইয়েরা। মাঝেমধ্যে প্রোডাকশনের লোকেরা তাদের অনুমতি নিয়ে ক্ষেত থেকে কুমড়া নিয়ে আসতেন।

ডাঙা ছেড়ে পানিতে, আবার পানি ছেড়ে চরে, এভাবেই চলেছে ‘ফিরে দেখা’ সিনেমার শুটিং। চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, গোয়ালন্দে আমার নানাবাড়ি। সেই অঞ্চলের একটু ভেতরে গিয়ে শুটিং করতে হয়েছে। পদ্মার চড়ে গিয়ে কাজ করেছি। কখনো নৌকায়, একটু পরেই আবার চরে নামা। বিষয়গুলো খুব এঞ্জয় করেছি। খুব একটা কষ্ট হয়নি। অবশ্য আমি আমার কাজকে খুব বেশি পছন্দ করি। তাই হয়তো এসবকে কঠিন মনে হয়নি। কাজের মধ্যে থাকলে রোদ, বৃষ্টি, টায়ার্ডনেস ফিল করি না। আমি তো চলচ্চিত্রে কাজ করা মানুষ। রাত-দিন এক করে, ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই তো কাজ করেছি। অভ্যাস আছে। গরম ও বৃষ্টির মিশেলে ওই আবহাওয়ায় ক্ষেত থেকে তরতাজা টমেটো, বেগুন ও মিষ্টি কুমড়া নিয়ে এসে রান্না করাটা আমরা খুব উপভোগ করেছি। গ্রামবাসীরাও খুশি।

এরপরে আলাপে উঠে আসে নিরব ও স্পর্শিয়া প্রসঙ্গ। তাদের দক্ষতার প্রশ্নে প্রশংসার ঝাঁপি উপুর করে দিলেন রোজিনা। বললেন, নিরব ও তার সমসাময়িক অভিনয়শিল্পীরা হাতের মুঠোয় পৃথিবীটা দেখার সুযোগ পাচ্ছে। ইন্টারনেটের এই যুগে ওরা সবকিছু দেখেশুনে ও শিখেই আসে। আমি নিরবের মধ্যে সব কোয়ালিটিই পেয়েছি। ১৯৭১ সালের যেই গ্রাম, সাদামাটা মেঠোপথ, মাটির মানুষ, সেই ধরনের একটি চরিত্র ফুটিয়ে তোলার ভার পড়েছিল নিরবের ওপর। তিনি একজন স্মার্ট অভিনেতা। মডেলিং করে এসেছেন। ওই চরিত্রে বেশ মানিয়ে গেছেন নিরব। চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন দারুণভাবে।। সব ধরনের অভিনয় করতে পারেন তিনি। সব পোশাকে সুন্দর লাগে। আমি তেল মেখে নিরবের মাথায় সিঁথি করে দিয়েছি। যেটা গ্রামের লোকেরা আগে করতেন।

অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার বিষয়ে রোজিনা বলেন, তিনিও খুবই ভালো অভিনেত্রী। সাধাসিধে ও চঞ্চল গ্রামের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ড্রেসআপের সঙ্গে মানিয়ে গেছেন, সেভাবেই অভিনয় করেছেন। আমি যতই সিনিয়র হই না কেন, এ যুগের নিরব কিংবা স্পর্শিয়াকে পারফেক্ট অভিনয়শিল্পী মনে হয় আমার কাছে। তাদের জ্ঞানও ভালো। আসলে কাজকে ভালোবাসলে তা সুন্দর হবেই।

ফিরে দেখা সিনেমার সঙ্গে মিশে আছে রোজিনার আবেগ ও দীর্ঘদিনের পরিশ্রম। কিন্তু দর্শক যদি তা গ্রহণ না করেন? এমনিতেই তো এখন মানুষ সিনেমাবিমুখ। বিনয় মিশিয়ে উত্তর দিলেন রোজিনা। বললেন, না না, আমি ওরকম প্রত্যাশা করি না। তবে আমি অবশ্যই সিনেমাটি দেখার আহ্বান করব। আমি ও ইলিয়াস কাঞ্চন অনেকদিন পর একসঙ্গে ছবি করেছি। তরুণরা আমাদের সিনেমা পছন্দ করেন। এখন যারা ইউটিউবেই ছবি দেখেন, তারা আমাদের সময়ের সিনেমার গান ও গল্প পছন্দ করেন। এ যুগের মেয়েদেরও আমি এসব বলতে শুনেছি।

নিজের সিনেমার গল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, এই সিনেমায় একাত্তরের গল্প তুলে ধরেছি। যারা তা দেখবে একাত্তরে ফিরে যেতে পারবে। তখন কী ধরনের গ্রাম, পরিবেশ ও মানুষ ছিল; গ্রামে কীভাবে আর্মি ঢুকেছিল, কীভাবে গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়েছিল, গ্রামের মানুষদের কীভাবে টর্চার করেছিল, তারা কীভাবে প্রতিবাদ করেছিল—এ বিষয়গুলো এই সিনেমায় খুঁজে পাওয়া যাবে। আমি বড় বড় ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করেছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই সিনেমায় গল্পটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সিনেমাটা দেখলেই তা বোঝা যাবে। কেউ না দেখলে তো কিছু করার নেই। দর্শকের ভালো লাগলে দেখবে, নতুবা আমার কিছুই করার নেই।

যদিও একটি বিষয়ে বেশ দ্বিমত করলেন রোজিনা। তিনি মনে করেন না মানুষ এখন সিনেমাবিমুখ। যুক্তি দিয়ে বললেন, গত বছর ও চলতি বছর সিনেমা হলে কিছু চলচ্চিত্র খুব ভালো চলেছে। তাহলে মানুষ চলচ্চিত্রবিমুখ হলো কীভাবে? আসলে ভালো কিছু কনটেন্ট দিতে হবে। ভালো অভিনয়শিল্পী থাকতে হবে। সিনেমার মধ্যে ভালো গল্প থাকা চাই। অবশ্য সব সিনেমা হলই যে চলছে তা কিন্তু নয়। আমি সব হলের কথা বলছিও না। মফস্বলের কিছু হল একেবারেই নড়বড়ে। ৫০-১০০ টাকা টিকেট কেটে সিনেমা দেখতে গিয়ে আমি যদি আরাম করে এঞ্জয় না করতে পারি, তাহলে সেখানে আমি কেন যাব?

‘ফিরে দেখা’ সিনেমার কাজ শেষ। ব্যস্ততা কমলে তিনি বসবেন তার আরেকটি সিনেমার চিত্রনাট্য কাটাছেঁড়ায়। রোজিনা বললেন, আপাতত সেই সিনেমার নাম দিয়েছি ‘এখনই সময়’। এর একটা স্ক্রিপ্ট করে ফেলেছি। সেটা নিয়ে আবারও বসব। দেখব কতটা যুক্ত করা যায়,কতটুকু কী করা যায়। একটা স্ক্রিপ্ট যত ঘাটা হয়, সেটা তত ভালোর দিকেই গড়ায়। এটা হবে পারিবারিক গল্প। যৌতুক বিরোধিতাবিষয়ক।

‘ফিরে দেখা’ সিনেমার প্রেস ব্রিফিংয়ে একটি প্রশ্নে বিব্রত হয়েছিলেন তিনি। তাই সেদিন কোনো জবাব দেননি। তবে কালবেলার কাছে মুখ খুললেন রোজিনা। বললেন, আমার উপস্থিত বুদ্ধি খুব কম। প্রেস কনফারেন্সে বর্তমান তারকাদের ব্যক্তিগত যেসব বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হয়, সেগুলো সিনেমায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু আমি কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না, বলিও না। আমার টায়ার্ড লাগছিল, তাই বলেছিলাম আমি এসব প্রশ্নের উত্তর দেব না। কিন্তু পরে আমি ফিল করলাম উত্তর দেওয়া দরকার।

এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রোজিনার কণ্ঠে মিলল আক্ষেপের সুর। বললেন, আমরা যখন কাজ করেছি তখন শিল্প-সংস্কৃতিকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। তখন আমাদের নিয়েও কিছু গসিপ হয়েছে। কিন্তু তাতে আমরা লজ্জা পেতাম। ভাবতাম, আমাদের মান-সম্মান, ইজ্জত কোথায় গেল! পুরো পৃথিবীতেই তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ থাকে। কিন্তু আমাদের যুগে সাংবাদিকরা আমাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ ছিলেন। তখন তো ভাইরাল হওয়ার কোনো সিস্টেমও ছিল না। আমরা শিল্প-সাহিত্যকে বেশি প্রধান্য দিয়েছি। এখন দিন অনেক বদলেছে। এখন যত বদনাম হবে তত ভাইরাল হবে। এতে তাদের পরিচিতি বাড়বে। তাই তো দেখছি। এখন জামানা বদলে গেছে। যত খারাপ কিছু করবেন, তত বেশি ভাইরাল হবেন, জনগণের কাছে তত বেশি পরিচিত হবেন। ততই আপনার ভেল্যু বাড়ছে। এগুলো তো আমি চোখের সামনে দেখছি।

সবশেষে জানালেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। তখন তিনি ছিলেন গোয়ালন্দে। তাদের বাড়ির তিন বাড়ি পরেই ছিল আর্মিদের বাঙ্কার। তাই রাজাকারদের সহায়তায় হানাদারেরা কত অত্যাচার করেছে তা তিনি কাছ থেকে দেখতে পেরেছেন। গ্রামের বিভিন্ন পরিবারের লোকেরা দা, বঁটি কুড়াল দিয়ে হানাদারদের কীভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে, সেটাও দেখেছেন রোজিনা। সেসব অভিজ্ঞতার প্রতিফলনই দেখা যাবে তার ‘ফিরে দেখা’ সিনেমায়। এসব কথা বলতে বলতেই ছুটে গেল বনানীর জ্যাম। হুট করে কেটে গেল মুঠোফোনের সংযোগ। তাই আরেক দফা ফোন করে ভদ্রতাসূচক ইতি টানা হলো আলাপের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

২২ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

স্বাস্থ্য পরামর্শ / রান্নায় সরিষার তেলে ঝুঁকি ও অসংক্রামক রোগ

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আবারো দুর্ঘটনা, নিহত আরও ৩

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ৫৮% মার্কিনি : রয়েটার্স

স্পেনের বাইরে লা লিগার ম্যাচ খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাল ফুটবলাররা

দুবাইয়ে যাওয়ার ৪ মাস পরই ৩ কোটির লটারি জিতলেন প্রবাসী

এনজো ফার্নান্দেজের মুখে রিয়াল মাদ্রিদের নাম, বাড়ছে গুঞ্জন

কেশবপুরে নারী সমাবেশ/ / ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি

সাভারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাসের শুভ উদ্বোধন

তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীও হবেন : এ্যানি

১০

দলবদলের বাজারে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর রেকর্ড ভাঙা খরচ

১১

ধর্মগড় সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক চার বাংলাদেশি

১২

হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে মোদিকে ওয়েইসির প্রশ্ন

১৩

জাকসুতে প্যানেল দ্বন্দ্ব, পদত্যাগ করে বাগছাস নেতার মিষ্টি বিতরণ

১৪

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা আন্তর্জাতিক মানের করতে চাই : বেবিচক চেয়ারম্যান

১৫

‘আ. লীগ বিদ্যুৎ খাতে চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল’

১৬

আ.লীগ নেত্রী রুনু গ্রেপ্তার

১৭

ইসির ইউটিউব চ্যানেল চালু, মিলবে যেসব তথ্য

১৮

শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষার্থী

১৯

চার বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

২০
X