পাকিস্তানের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমায়রা আসগরকে তার নিজ ফ্ল্যাট থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারের পর নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে তার মৃত্যুকে ঘিরে ঘটে যাওয়া এক করুণ ঘটনা। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হিমঘরে রাখা হলেও, অভিনেত্রীর বাবা মরদেহ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং মেয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
৩২ বছর বয়সি হুমায়রার মরদেহ ৮ জুলাই (মঙ্গলবার) করাচির ডিফেন্স ফেজ ৬ এলাকার নিজ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তারা জানায়, মৃতদেহটি অতি পচনশীল অবস্থায় পাওয়া গেছে, যা দেখে ধারণা করা হচ্ছে- প্রায় এক মাস আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। হুমায়রার ফ্ল্যাটটি আদালতের নির্দেশে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
করাচির এসএসপি (দক্ষিণ) মাহজোর আলী সাংবাদিকদের জানান, হুমায়রার পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার বাবা মেয়ের লাশ গ্রহণ করতে রাজি হননি। তিনি জানান, “হুমায়রার বাবা আমাদের স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি তার মেয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন এবং মরদেহ গ্রহণ করবেন না।” ময়নাতদন্ত ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ফরেনসিক বিশ্লেষণের প্রতিবেদন এখনো অপেক্ষমাণ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে করলেও, সব দিক থেকেই তদন্ত চলছে।
লাহোরে জন্ম নেওয়া হুমায়রা ২০১৩ সালে মডেলিং শুরু করেন। ২০২২ সালে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘তামাশা’-তে অংশ নিয়ে দর্শকদের নজর কাড়েন। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি নিজেকে জনজীবন থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে করাচির সেই ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন এবং ২০২৪ সালের শুরু থেকেই ভাড়া পরিশোধ বন্ধ করে দেন।
হুমায়রার মৃত্যু এবং পরিবারের এমন নির্মম প্রতিক্রিয়া শোবিজ অঙ্গনে ব্যক্তিগত জীবনের অব্যক্ত কষ্ট ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই শোক জানিয়ে শিল্পীদের প্রতি সমাজ ও পরিবারের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
মন্তব্য করুন