অফিসে কাজ করতে করতে ক্লান্ত। অফিসের ক্লান্তি কাটিয়ে না উঠতেই বাসায় ফিরেই আবার ঘরের কাজ। এত ব্যস্ততার মাঝে হাঁপিয়ে ওঠাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে সবকিছুই আমাদের সামাল দিতে হয়। ক্লান্তি-অবসন্নতার ফলে কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত যেমন ঘটে, তেমনি ঘরের কাজের ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় এর প্রভাব পড়ে। ক্লান্তি মেটাতে চায়ের জুরি মেলা ভার। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের চা খাওয়ার চল রয়েছে। শুধু ক্লান্তি দূর করা নয়, ত্বক এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্যও অনেক মানুষ চায়ের ওপর ভরসা রাখেন। কিন্তু সেই চা মোটেই দুধ, চিনি দিয়ে ফোটানো যাবে না। চাই এমন ধরনের চা, যা চুমুক দেওয়া মাত্রই স্বাদে-গন্ধে মন হয়ে ওঠে চনমনে। এমন কয়েক প্রকার চায়ের সন্ধান দেওয়া হলো-
তুলসী চা
তুলসির মতো ভেষজ সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে, তা উপশম করে। তুলসী পাতার সঙ্গে চা পাতা ভেজানো গন্ধে ক্লান্ত মন হয়ে ওঠে ফুরফুরে। সঙ্গে অনেকে আদা, ছোট এলাচও দেন। এসব মসলার গন্ধেও মন ভালো হয়ে উঠতে পারে।
আর্ল গ্রে
চা-প্রেমী যারা, তারা এই নামের সঙ্গে পরিচিত। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর এই আর্ল গ্রে চায়ের তরতাজা সুবাসে মন ভালো হতে বাধ্য। আর এক চুমুক দিলেই কেটে যেতে পারে সারা দিনের ক্লান্তি। এছাড়াও হজমের সমস্যা, গ্যাস, অম্বল, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে এই চা।
ক্যামোমাইল চা
স্নায়ুকে শান্ত করতে এই চা বিশেষভাবে কাজ করে। ছোট ছোট সাদা রঙের ফুলগুলোতে আলাদা করে তেমন গন্ধ না থাকলেও এদের ভেষজগুণে সারা দিনের ক্লান্তি ধুয়ে যায়। ঘুম নেমে আসে দু’চোখে।
মন্তব্য করুন